শক্তি বেড়েছে। এ বার ক্রমেই উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর ঝড়ের গতিবেগ এবং তার প্রভাব কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তাঁ আঁচ করার চেষ্টা যেমন করছেন আবহবিদরা, তেমনই কোমর বেঁধে প্রস্তুত রাজ্য প্রশাসন। উপকূলীয় জেলাগুলিকে চূড়ান্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। উদ্ধার ও ত্রাণসামগ্রী প্রস্তুত রাখার নির্দেশ গিয়েছে জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে। আজ শুক্রবার থেকেই মৎসজীবীদের সমুদ্রে যাওয়া নিষেধ। যাঁরা এখনও সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদের ফেরানোর বার্তা পাঠানো হয়েছে। বুলবুলের মোকাবিলায় বৈঠক হয়েছে কলকাতা পুরসভাতেও।
ক্ষয়ক্ষতি ও বিপর্যয়ের আশঙ্কায় নবান্নের তরফ থেকে জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা এবং ঝাড়গ্রামের কিছু অংশে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে চলেছে। এই সাত জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তৎপর রয়েছে কলকাতা পুলিশ এবং পুরসভাও। প্রশাসনিক আধিকারিকদের তৎপর থাকতে বলা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
কেন্দ্রের তরফেও সতর্ক করা হয়েছে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গকে। দুই রাজ্যের প্রশাসনকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব পি কে মিশ্র এ বিষয়ে দুই রাজ্যের প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখেছেন। পাশাপাশি পরিস্থিতির মোকাবিলায় সব রকম সাহায্য়ের আশ্বাসও দিয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন।