রাত ৯টা। সুনসান শিয়ালদহ স্টেশন। অন্য দিন এই সময় নিত্যযাত্রীদের ভিড়ে গমগম করে স্টেশন। নিজস্ব চিত্র।
ফণীর আতঙ্কে রেল-বিমান পরিষেবা কার্যত বিপর্যস্ত পশ্চিমবঙ্গে। একের পর এক লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তবে, কলকাতার মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য দিনের মতোই শনিবার সারা দিন কবি সুভাষ থেকে দমদম পর্যন্ত মেট্রো চলবে। তবে নির্ধারিত ২২৪টি ট্রেনের বদলে শনিবার ১৭৪টি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হতে পারে।”
ফণীর তাণ্ডবে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ভারত, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ইস্ট কোস্ট এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বিভিন্ন শাখায় ১৮০টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ২৮টি ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। ফণীর তাণ্ডবে ভূবনেশ্বরে বিমান ওঠানামাও বন্ধ রয়েছে।
আগাম সতকর্তার কারণে শুক্রবার বিকেল ৩টে থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দরও বন্ধ রাখা হয়েছে। অধিকাংশ যাত্রীই বিষয়টি জানতে পারেন বিমানবন্দরে এসে। কবে থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ, তাঁরা এ দিন নির্দিষ্ট সময়ই বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। বিমানবন্দরে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, সমস্ত বেসরকারি বিমান পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ফণী, আতঙ্কিত রাজ্যবাসী, মেদিনীপুরে ভাঙল ২০টি বাড়ি
আরও পড়ুন: ভয়াল-ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলায় লন্ডভন্ড পুরী-ভুবনেশ্বর, তছনছ গ্রামের পর গ্রাম, মৃত ৩
কয়েকটি বেরকারি বিমানসংস্থাগুলির তরফে যাত্রীদের জানানো হয়েছে, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর সবুজ সঙ্কেত পেলে তবেই কলকাতায় উড়ান চলাচল স্বাভাবিক হবে। উল্লেখ্য, হাওয়ার গতি বেশি থাকলে নামতে সমস্যা হয় বিমানের। ঘণ্টায় ৩৬ কিলোমিটার বা তার বেশি বেগে ঝোড়ো হাওয়া দিলেই সতর্ক করা হয় পাইলটকে।
শুক্রবার এবং শনিবার সারা দিন ধরে ঝোড়ো হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ৭০ থেকে ১০০ কিলোমিটার থাকতে পারে। ফলে আপাতত বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার খবর এবং বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেবাংলায় খবরপেতে চোখ রাখুন আমাদেররাজ্যবিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy