ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপ। শনিবার মৌসম ভবন জানিয়েছে, মধ্য বঙ্গোপসাগরে থাকা গভীর নিম্নচাপটি আজ, রবিবার সকালের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে। তার পর সে ছুটে যাবে মায়ানমারের দিকে। তবে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের পূর্ব উপকূলে এই ঘূর্ণিঝ়ড়ের তেমন প্রভাব পড়বে না বলেই আবহবিদেরা জানাচ্ছেন। তবে বাংলা বছরের প্রথম দিনই ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গের পাহাড়-সমতলের বিস্তীর্ণ এলাকার জনজীবন। শনিবার দুপুর থেকে সব জেলাতেই কমবেশি ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। মাঠে চাষের কাজ করতে গিয়ে বাজ পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে কোচবিহারে। মৃতের নাম উত্তম রায় (৪৫)। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দুর্যোগ চলতে পারে আরও এক দিন।
তবে বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, এই ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাবে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ইতিমধ্যেই গভীর নিম্নচাপ দানা বাঁধায় দখিনা বাতাস জোরালো হয়ে উঠেছে। জোলো হাওয়া কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ঢোকার ফলে গরমের অস্বস্তি সাময়িক ভাবে কমতে পারে।
শনিবার মহানগরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। বাতাসে বাড়তি জলীয় বাষ্প থাকার ফলে কোথাও কোথাও ঝড়বৃষ্টিও হয়েছে। সঞ্জীববাবু জানান, জোলো হাওয়ার দাপটে আগামী দিন দুয়েক তেমন ভাবে বাড়তে পারবে না দিনের তাপমাত্রা। উপগ্রহ-চিত্র বিশ্লেষণ করে মৌসম ভবনের আবহবিদেরা জানান, গভীর নিম্নচাপটি এ দিন সন্ধে পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবর পেরিয়ে এসেছে। তার অবস্থান মায়ানমার থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পরেই সে মায়ানমারের দিকে রওনা দেবে। কাল, সোমবার মায়ানমারের সিতয়ে এবং স্যান্ডওয়ের মাঝামাঝি কোনও জায়গায় আছড়ে পড়তে পারে সে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy