পথ দুর্ঘটনার পরে মাত্রা ছাড়াচ্ছে জনরোষ। উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রীও। জনরোষ সামলাতে তাই এ বার থানাগুলি কেমন তৈরি, তা বুঝে নিতে চাইছে সরকার। সরকারি সূত্রের খবর, রবিবারই রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ সব পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনারের কাছে নির্দেশ পাঠিয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি থানার ‘র্যাপিড রেসপন্স ক্যাপাসিটি’ (আরআরসি) সম্পর্কে বিশদে তথ্য চেয়েছেন।
সোমবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘কথায়-কথায় কিছু লোক আগুন জ্বালিয়ে দিচ্ছে। পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ করছে। পুলিশ কেন সঙ্গে-সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছে না?’’ এই পরিস্থিতি ঠেকাতে এ বার নামতে চায় পুলিশ।
রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, দুর্ঘটনার পর জনতার ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে কারা ভাঙচুরে অতীতে নেতৃত্ব দিয়েছে বা আগামী দিনে দিতে পারে, তেমন সন্দেহভাজনদের তালিকা পুলিশের হাতে থাকা জরুরি। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার নিকটবর্তী থানায় বিশেষ প্রশিক্ষিত পুলিশকর্মীদের দলও থাকা প্রয়োজন। সচল জলকামান, পর্যাপ্ত ঢাল ও হ্যান্ড মাইক, মহিলা পুলিশ, প্রশিক্ষিত সিভিক ভলান্টিয়ারের টিমও দরকার।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে ও রায়গঞ্জে দুর্ঘটনার পরে থানাগুলির কাছে আরআরসি সম্পর্কে জানতে চাইলে অস্পষ্ট জবাব মিলেছে। তা জানার পরেই মুখ্যমন্ত্রী ডিজিকে ডেকে দুর্ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও জোরদার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ওই পুলিশ কর্তা জানান, এর পরেই ডিজি জানিয়ে দিয়েছেন, ট্রাফিক আইন মেনে চলা নিয়ে লাগাতার প্রচারে যেমন আরও গতি আনতে হবে, তেমন কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে গণ্ডগোল প্রতিরোধে ঝাঁপাতে হবে আরআরসি টিমকে। মমতাও জানান, রাস্তার ধারে ওয়াচ টাওয়ার বসাতে হবে। তাতে বড় আলো ও ক্যামেরা থাকবে। দরকারে চালকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা রুজু করার নির্দেশও দেন তিনি।
সহ প্রতিবেদন: সুস্মিত হালদার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy