ফি বছর গরম পড়লেই পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দেয় ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাজিপুর আদলদার পাড়ায়। নিকাশি নালা দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় অল্প বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে এই এলাকায়। পানীয় জল এবং নিকাশি সংস্কারের জন্য পুরসভাকে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ।
পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই ওয়ার্ডে বতর্মানে জনসংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। সে তুলনায় নলকূপ রয়েছে ১৫-১৬টি। এর মধ্যে গরম পড়তেই জলস্তর নেমে যাওয়ায় কয়েকটি অকেজো হয়ে পড়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পাইপ লাইনের সাহায্যে জল সরবরহের ব্যবস্থা থাকলেও সকাল-দুপুর ট্যাপ লাইন থেকে জল প্রায় পড়ে না বললেই চলে। এ দিকে, গরম পড়তেই পুকুরগুলিতেও জল তলানিতে ঠেকে। ফলে সব মিলিয়ে বতর্মানে জলের হাহাকার দেখা দিয়েছে।
বষার্কালে আবার ঠিক উল্টো সমস্যা। ওই ওয়ার্ডে এখনও সে ভাবে নিকাশি নালা তৈরিই হয়নি। যেটুকু নালা আছে, তা-ও দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করায় নালা জুড়ে আবর্জনার স্তূপ। এ ছাড়াও, নালার জল যে ডায়মন্ড হারবার খালে পড়ে, সেই খাল শেষ কবে সংস্কার হয়েছে, কেউ মনে করতে পারেন না। ফলে বৃষ্টির জল বেরনোর পথ প্রায় বন্ধ। অল্প বৃষ্টিতেই জলে থৈ থৈ করে ওয়ার্ডের সমস্ত এলাকা। নোংরা জল ঢুকে পড়ে ঘরেও। জল নামতে প্রায় লেগে যায় সপ্তাহখানেক। তত দিন হাঁটু জল ভেঙে চলাফেরা করতে হয় সকলকে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ভরা গরমে পানীয় জল এবং বাড়ির ব্যবহারের জল সংগ্রহ করতে চরম দুর্ভোগ সহ্য করতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অনেকেই পুকুরের নোংরা জল ব্যবহার করেন। অবধারিত ভাবে তাঁদের পেটের নানা সমস্যায় ভুগতে হয়। বিশেষত শিশুদের সমস্যা হয় আরও বেশি। পানীয় জল কিছুটা দুর থেকে সংগ্রহ করলেও রান্না, বাসনমাজা বা জামাকাপড় কাচার জন্য পুকুরের উপরে ভরসা না করে উপায় নেই। স্থানীয় বাসিন্দা মনজুর মোল্লা, সইদুল আদলদারেরা জানান জনসংখ্যা বাড়ছে। বতর্মানে ক্ষমতাসীন পুরসভার মদতে পুকুর ভরাট ও নিকাশি নালা বন্ধ করে বাড়ি তৈরি হওয়ায় জল নিকাশি সমস্যা আরও বাড়ছে।
ডায়মন্ড হারবার শহর সিপিএমের জোনাল কমিটির সম্পাদক সমর নাইয়ার দাবি, “আমরা যখন পুরসভায় ক্ষমতায় ছিলাম, ওই ওয়ার্ডে পানীয় জলের নলকূপ বসানো এবং নিকাশি নালা নির্মাণ করেছিলাম। কিন্তু বতর্মান পুরবোর্ডে যারা ক্ষমতায় আছে, তারা ওই ওয়ার্ডের উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনা না করায় সমস্যায় পড়ছেন বাসিন্দারা।
ডায়মন্ড হারবার পুরসভা তৃণমূলের দখলে। উপ পুরপ্রধান পান্নালাল হালদার বলেন, “ওই ওয়ার্ডে জল নিকাশি সমস্যা বহু পুরনো। সমস্যা সমাধান করতে পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুকুর-নালা ভরাট করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অন্য দিকে, পানীয় জলের চাহিদা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “গরমের সময় জলস্তর নেমে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়। তাই ইতিমধ্যে ২টি গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে আরও ১টি গভীর নলকূপ বসানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy