সম্পত্তি নিয়ে গোলমালের জেরে বিধবা মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বড় ছেলের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটে হাসনাবাদ থানার পাটলিখানপুর গ্রামে। গুরুতর আহত আনোয়ারা বিবিকে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পাঠানো হয় আরজিকরে। সেখান থেকে পরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এনআরএসে। হাসনাবাদ থানার ওসি অনুপম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অভিযুক্ত মোজাম্মেল হকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই সে ধরা পড়বে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মাজেদ আলি ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। তাঁর স্ত্রী এবং চার ছেলেমেয়ে। গত বছর জানুয়ারি মাসে মাজেদের মৃত্যুর পরে সম্পত্তির দখলকে কেন্দ্র করে মা আনোয়ারার সঙ্গে বড় ছেলে মোজাম্মেলের বিবাদ বাধে। গত বছর জুলাই মাসে বড় ছেলের বিরুদ্ধে আনোয়ারা হাসনাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, তাঁর সমস্ত সম্পত্তি অন্যায় ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে বড় ছেলে। ওই অভিযোগে আরও বলা হয়, কর্মরত অবস্থায় স্বামীর মৃত্যুর পরে ছোট ছেলে যাতে চাকরি না পায়, সে জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র লোপাট করা হয়েছে। এমনকী, তিনি স্বামীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ারও অভিযোগ করেন মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার পর থেকে দু’পক্ষের বিবাদ চরমে ওঠে। এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ বাড়ির গেটে দেওয়া তালার চাবির দাবি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। অভিযোগ, সে সময়ে মোজ্জামেল ঘর থেকে বড় দা বের করে মাকে মারতে যায়। হাত উচুঁ করে কোনও রকমে মাথা বাঁচান আনোয়ারা। কিন্তু দায়ের কোপে হাতের তিনটি আঙ্গুল কেটে যায়। প্রতিবেশীরা এসে পড়ায় রক্ষা পান তিনি। পালায় মোজাম্মেল।
আনোয়ারার দাবি, “এমন ঘটনা ঘটতে পারে আন্দাজ করে বড় ছেলের বিরুদ্ধে আগেই থানায় অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আমাকে খুনের হুমকি দিত ছেলে। এপ্রিল মাসে আরও এক দফা অভিযোগ করি থানায়। জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছেও লিখিত অভিযোগ করেছিলাম।” মোজ্জামেলের অবশ্য দাবি, মায়ের করা অভিযোগ মিথ্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy