Advertisement
E-Paper

গাঁজার ক্রেতা সেজে দুষ্কৃতীকে ধরল পুলিশ

সীমান্ত এলাকায় ডাকাতি ও মাদক পাচারের অভিযোগে কুখ্যাত দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম হানিফ মোল্লা এবং তপন মণ্ডল। তাদের কাছ থেকে সাড়ে ৪৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। রবিবার তল্লাশি অভিযানে নেমে পুলিশ হানিফকে বসিরহাটের বোটঘাটে ইছামতী সেতু থেকে ধরে। তপন ধরা পড়ে স্বরূপনগরের তেঁতুলিয়া সেতুর উপর থেকে। সোমবার দু’জনকে বারাসত আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৪ ০০:৩৪

সীমান্ত এলাকায় ডাকাতি ও মাদক পাচারের অভিযোগে কুখ্যাত দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম হানিফ মোল্লা এবং তপন মণ্ডল। তাদের কাছ থেকে সাড়ে ৪৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। রবিবার তল্লাশি অভিযানে নেমে পুলিশ হানিফকে বসিরহাটের বোটঘাটে ইছামতী সেতু থেকে ধরে। তপন ধরা পড়ে স্বরূপনগরের তেঁতুলিয়া সেতুর উপর থেকে। সোমবার দু’জনকে বারাসত আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

পুলিশ জানায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার ৯ নম্বর কুমড়োখালি গ্রামে বাড়ি হানিফের। তার বিরুদ্ধে দুই ২৪ পরগনার সুন্দরবন-সহ সীমান্ত এলাকায় একাধিক ডাকাতি-সহ নানা দুষ্কর্মের অভিযোগ আছে। দীর্ঘ দিন থেকে হানিফের খোঁজ করছিল পুলিশ।

গত কয়েক মাস আগে হানিফের সঙ্গে যুক্ত হয় স্বরূপনগরের সীমান্তবর্তী নিত্যানন্দকাটি গ্রামের বাসিন্দা তপন। পুলিশের দাবি, স্বরূপনগর এলাকায় ডাকাতির ছক কষে তারা। বিথারি এবং তেঁতুলিয়ার কাছে দুই ব্যক্তির বাড়িতে ডাকাতির ঘটনাতেও তারা জড়িত বলে তদন্তকারী অফিসারদের সন্দেহ। বিশেষ সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, হানিফ মোল্লা, নাসিরউদ্দিন মোল্লা, তপন মণ্ডল এবং সমীর মণ্ডল নামে চার দুষ্কৃতী রবিবার বসিরহাটের একটি গোপন জায়গায় জড়ো হচ্ছে। এলাকায় ডাকাতির পাশাপাশি মাদক বিক্রিরও ফন্দি আছে তাদের।

বসিরহাট থানার অফিসার প্রতীক বসুর নেতৃত্বে একটি দল বোটঘাটে ইছামতী সেতুতে আসে। ক্রেতার ছদ্মবেশে ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। হানিফকে ঘিরে ফেলেন তাঁরা। বাকিরা অবশ্য আগেই এলাকা ছেড়েছিল। হানিফের কাছ থেকে সাড়ে ২১ কেজি গাঁজা পায় পুলিশ।

স্বরূপ‌নগর থানার পুলিশ আবার তেঁতুলিয়া সেতুতে তপনকে গাঁজার ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। তাকে গ্রেফতার করে উদ্ধার হয় ২২ কেজি গাঁজা। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, তারা মূলত রঙের কাজ করার ছল করে গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকে পড়ত। কোথায় কী আছে, কোন পথে বাড়িতে ঢোকা-বেরনো যায়, সেই খোঁজ করত। এরপরে সুযোগ বুঝে ‘অভিযানে’ নেমে পড়ত। ডাকাতির পাশাপাশি ইদানীং সীমান্ত এলাকায় মাদক বিক্রির কাজও শুরু করেছিল তারা।

ganja seller basirhat arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy