Advertisement
১৯ মে ২০২৪

চোলাই রুখতে অভিযান, ধৃত ৩

চোলাই রুখতে অভিযান চালাল পুলিশ। সোমবার দুপুরে সন্দেশখালির দক্ষিণ আখড়াতলার কলাবাগান এবং ন্যাজাট হাটখোলায় তিন মহিলা-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার লিটার চোলাই এবং চোলাই তৈরির সরঞ্জাম। ভেঙে ফেলা হয়েছে চোলাই তৈরির উনুন, ড্রাম। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সন্দেশখালি এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ভাঙচুর এবং মারামারির মত ঘটনা শুরু হয়েছে।

চোলাইয়ের ভাটি ভেঙে দিচ্ছে পুলিশ। ছবি: নির্মল বসু।

চোলাইয়ের ভাটি ভেঙে দিচ্ছে পুলিশ। ছবি: নির্মল বসু।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৪ ০১:২২
Share: Save:

চোলাই রুখতে অভিযান চালাল পুলিশ। সোমবার দুপুরে সন্দেশখালির দক্ষিণ আখড়াতলার কলাবাগান এবং ন্যাজাট হাটখোলায় তিন মহিলা-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার লিটার চোলাই এবং চোলাই তৈরির সরঞ্জাম। ভেঙে ফেলা হয়েছে চোলাই তৈরির উনুন, ড্রাম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সন্দেশখালি এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ভাঙচুর এবং মারামারির মত ঘটনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে হালদারঘেরি পাড়ায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় নড়ে চড়ে বসেছে পুলিশ-প্রশাসন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে গণ্ডগোলের আগে কিছু মানুষকে চোলাই খাওয়ানো হয়েছে। তার জেরেই গণ্ডগোলের মাত্রা বেড়েছে বলে অনুমান। আর তাতে ঢুকে পড়ছে রাজননীতির রং। গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, চোলাই খাওয়ার ফলে ছোটখাট গণ্ডগোলও গ্রামে বড় আকার নিচ্ছে। অনেকে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সংসারে অশান্তি বাড়ছে। মহিলাদের উপরে অত্যাচারের মাত্রাও বেড়েছে। গ্রামে চুরি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও ঘটছে। এ সবের প্রতিবাদে বাসিন্দারা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

এ দিন দুপুরে বিশাল বাহিনী নিয়ে সন্দেশখালি থানার অফিসার মতিয়ার বৈদ্যের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। দক্ষিণ আখড়াতলা বাজার থেকে মেটিয়াখালি ফেরিঘাটের বাঁ পাশ দিয়ে বেতনী নদীর ধার ঘেঁসে বেরিয়ে যাওয়া রাস্তার পাশে চৌকিদার পাড়া। ওই পাড়ার হীরু, বাপি, নিমাই, ভক্তরা সকলে চোলাই ব্যবসায়ী। পুলিশ তাদের বাড়িতে অভিযান চালানোর সময়ে ধরা পড়ে হীরু চৌকিদারের স্ত্রী সীতা। ওই বাড়ি থেকে পুলিশ প্রায় ১২ শো লিটার চোলাই এবং চোলাই তৈরির সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে। ভেঙে ফেলা হয় চোলাই তৈরির বড় উনুন। তত ক্ষণে অবশ্য বাড়ির পুরুষরা অবশ্য পালিয়ে যায়।

বাসিন্দাদের বক্তব্য, চোলাই খেয়ে গ্রামের শান্তি নষ্ট করছে অনেকে। মদের নেশায় চুর হয়ে মহিলাদের অসন্মান করার প্রতিবাদ করলে দুষ্কৃতীরা হুমকি দিচ্ছে। প্রতিমা মণ্ডল, খগেন চৌকিদার, মালতি মণ্ডলরা বলেন, ‘‘এখন আত্মীয়-পরিজনদের মধ্যে সামান্য মনোমালিন্য হলেও তা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। গ্রাম অশান্ত হচ্ছে। এর বড় কারণ নেশা।’’

বেতনী নদীর অন্য পাড়ে গজালিয়া, পদুয়া, পুঁটিমারি গ্রাম। সে দিকে দেখিয়ে গ্রামবাসীরা জানালেন, ওই সব এলাকা থেকে চোলাই আনা হয় এ পাড়ে। এরপরে পুলিশ ন্যাজাট হাটখোলায় গিয়ে একটি দোতলা বাড়ির নীচে বন্ধ দোকান থেকে প্রচুর পরিমাণে দেশি-বিদেশি মদের বোতলও আটক করে। গ্রেফতার করা হয় দোকানের মালিক বিশ্বনাথ মণ্ডল এবং ঝর্ণা মণ্ডলকে। পরে ওই এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে চোলাই আটক করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

basirhat liquor arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE