এ ভাবেই তালা বন্ধ হয়ে পড়ে আছে যাত্রী প্রতীক্ষালয়। —নিজস্ব চিত্র।
সকাল প্রায় ৯টা। ডাউন ক্যানিং লোকাল ঢুকতে তখনও প্রায় ২০ মিনিট বাকি। প্ল্যাটফর্মে বন্ধ একটি ঘরের দরজার ওপরে জ্বলজ্বল করছে ‘যাত্রী প্রতীক্ষালয়’-এর বোর্ড। ঘরের সামনে শিশুকোলে বোরখা পরা এক মহিলা ঘোরাঘুরি করছিলেন।
মহিলাকে ডেকে রেলের এক কর্মী চাইলেন, কেন তিনি ও ভাবে ঘোরাঘুরি করছেন। উত্তরে মহিলা জানালেন, ‘‘বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর জায়গা খুঁজছিলাম। যাত্রী প্রতীক্ষালয় লেখা দেখে ভেবেছিলাম ওখানে বাচ্চাকে দুধ খাওয়াব। কিন্তু ঘরটা বন্ধ।’’ কর্মীটি মহিলাকে অফিসঘরে নিয়ে গেলেন বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর জন্য। রেলকর্মীর কথায়, “বোরখা ঢাকা মহিলাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু মহিলার কথা শুনে সব বুঝতে পেরে ওঁকে অফিসঘরে নিয়ে গিয়ে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে দিই।”
এমন অভিজ্ঞতা শুধু ওই মহিলার নয়, ক্যানিং স্টেশনের অনেক যাত্রীরও। যাত্রীদের অভিযোগ : যাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট কোনও বসার ঘর নেই। একটি ঘরে ‘যাত্রী প্রতীক্ষালয়’ লেখা বোর্ড টাঙানো থাকলেও সেই ঘরটি খোলা হয় না। দীর্ঘদিন ধরে তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। মহকুমার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হল সুন্দরবন। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সুন্দরবন ঘুরতে আসার সময় ক্যানিং স্টেশন ব্যবহার করেন। তাঁদের প্রতীক্ষার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। অগত্যা ট্রেন ধরার জন্য খোলা প্ল্যাটফর্মে তাঁদের অপেক্ষা করতে হয়।
নিত্যযাত্রী নিতাই মণ্ডল, স্বাতী বিশ্বাস, শেফালি মণ্ডল বলেন, “এমনিতে ক্যানিং শাখায় এক ঘণ্টা পরপর ট্রেন। ট্রেনের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। অথচ প্ল্যাটফর্মে যাত্রী প্রতীক্ষালয় থাকলেও সেই ঘর দীর্ঘদিন ধরেই তালাবন্ধ রয়েছে। ওটা খোলা থাকলে যাত্রীরা অন্তত একটু বিশ্রাম নিতে পারেন। বিশেষ করে মহিলা যাত্রীরা প্রচণ্ড অসুবিধায় পড়েন। এ ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হলেও কাজ হয়নি।”
ক্যানিং স্টেশন সূত্রে জানানো হয়েছে, পাছে অবাঞ্ছিত লোকজন যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের ভিতরে নানা আসামাজিক কাজ করেস সেই কারণেই বন্ধ রাখা হয়েছে প্রতীক্ষালয়টি। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক অবশ্য বলেন, “কর্মীর অভাবে আপাতত ক্যানিং স্টেশনের যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি বন্ধ করা আছে। যাত্রীদের অসুবিধার কথা ভেবে, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতীক্ষালয়টি যাতে দ্রুত খোলা যায় তা দেখা হচ্ছে।”
জয়নগর কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তরুণ নস্কর বলেন, “অনেকে আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। আমি রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীকে অনুরোধ করব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।”
বাজ পড়ে মৃত। জমিতে জল দেওয়ার সময় বাজ পড়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে ঢোলাহাটের দিগম্বরপুর পঞ্চায়েতে পার্বতীপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম শেখ নুরুল হক (২২)। এ দিন সকালে মাঠে কাজ করার সময় বাজ পড়ে জখম হন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy