বন্ধ পড়ে রয়েছে পাম্পঘর।—নিজস্ব চিত্র।
পাঁচ মাস ধরে পাম্প বন্ধ থাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তরফে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে জগৎবল্লভপুরের ১০টি গ্রামে। অন্য দিকে, গরমে পানীয় জলের নলকূপগুলির জলস্তর ক্রমশ নীচে নেমে যাওয়ায় জল উঠছে সরু সুতোর মতো। নলকূপ ব্যবহার করতে নাকাল হচ্ছেন গ্রামবাসীরা। পানীয় জলের সঙ্কটে পড়েছেন বহু মানুষ।
হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের হাফেজপুর গ্রামে প্রায় ২০ বছর আগে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তত্ত্বাবধানে একটি গভীর নলকূপ বসানো হয়েছিল। সেখান থেকে পাতিহাল পঞ্চায়েত এলাকার হাফেজপুর, যদুপুর, পাতিহাল, উত্তর পাতিহাল, হাটতলা, গুমো এবং জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত এলাকার চাঁদুল, বাকুল-সহ ১০টি গ্রামে ওই গভীর নলকূপ থেকে পানীয় জল সরবরাহ হত। কিন্তু গত জানুয়ারি থেকে পাম্পটি বিকল হয়ে যাওয়ায় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এ দিকে, গরমে জলস্তর নীচে নেমে যাওয়ায় নলকূপগুলির জল পড়ছে সরু সুতোর মতো। কিছু নলকূপ প্রায় অকেজো হতে বসেছে। পাম্পটি ফের চালু করার জন্য প্রশাসনকে বলেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।
হাফেজপুর গ্রামের বাসিন্দা মফিজ আহমেদ, মানবেন্দ্র দাস, পাতিহাল গ্রামের বাসিন্দা দেবাশিস ঘোষেরা বলেন, “২০ বছর আগে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর গভীর নলকূপের মাধ্যমে জল সরবরাহ চালু করার পর থেকে আমাদের খুব সুবিধা হয়েছিল। রাস্তার ধারের কলগুলি থেকে সময়মতো জল পেতাম। পুকুরে জল শুকিয়ে গেলেও আমাদের তেমন কোনও চিন্তা থাকত না। পানীয় জল ছাড়াও বাসন মাজা, কাপড় কাচা, স্নান করার পক্ষে খুব সুবিধা হত। কিন্তু জানুয়ারি থেকে পাম্পের জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা প্রচণ্ড জল সঙ্কটে পড়েছি।” অন্য দিকে, গরমে জলস্তর নীচে নেমে যাওয়ায় সমস্যা আরও গভীরে চলে গিয়েছে। হাফেজপুর গ্রামের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের গভীর নলকূপের জল সরবরাহের দায়িত্বপ্রাপ্ত পাম্প অপারেটর অখিল চক্রবর্তী বলেন, “গত জানুয়ারি মাস থেকে পাম্পে ঘোলা জল ও বালি উঠে আসছিল। ফলে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে দিতে হয়। পাম্পটি মেরামতের জন্য আমি বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে জানিয়েছিলাম। কিন্তু মেরামতের কাজ এখনও শুরু হয়নি।”
গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে জল না পেয়ে ওই অপারেটরের কাছে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। পাঁতিহাল পঞ্চায়েতের প্রধান বিমল চক্রবর্তী বলেন, “জল সরবরাহ বন্ধ থাকায় বহু মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। ব্লক অফিসে এ নিয়ে জানানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত পানীয় জল সরবরাহ চালু হয়নি।” হাওড়া জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ সাহা বলেন, “জগৎবল্লভপুর হাফেজপুরের পাম্প হাউজের গভীর নলকূপটি খারাপ হয়ে গিয়েছে। কাদাগোলা জল উঠছে। জল সরবরাহ চালু করতে সব চেষ্টা করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy