ধুলোর ঝড়। ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়।
রাস্তা বেহাল, ধুলো খেতে খেতে হাঁপানি হবার উপক্রম। এই রাস্তায় যাতায়াতে গ্রামবাসীরা পড়েছে সমস্যায়। হাওড়া-সাঁকরাইলে ৭৭নং বাসস্ট্যান্ড থেকে আবাদা রেল ইয়ার্ড পর্যন্ত প্রায় ২ কিমি রাস্তাটি প্রায় বিশ বছর ধরে বেহাল অবস্থায়। এই ভাঙাচোরা বিপজ্জনক রাস্তার উপর দিয়ে ১০টি গ্রামের মানুষের নিত্য যাতায়াত। রাস্তা মেরামতের ব্যাপারে রেল দফতরে বারবার জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। ১৯৮৮ সাল নাগাদ রেল দফতরের তত্ত্বাবধানে এই রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল। তার পর বছর পাঁচেক কাটতে না কাটতে রাস্তার মাঝখানে বড় বড় গর্ত হয়ে যায়। স্টোনচিপ-খোয়াগুলি উঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। গত ২০ বছরে একবারও মেরামতের কাজ হয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। বর্ষায় খানাখন্দগুলিতে মোরাম বা লাল মাটি ফেলে ভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু যানবাহনের চাপে সেখান থেকে জল ছিটকে উঠে পথচারীদের জামাকাপড় নষ্ট করে দেয়। গরমকালে ধুলোর উপদ্রবে হাঁপানি হওয়ার উপক্রম। গ্রামবাসীরা জানান, এই রাস্তা দিয়ে ভগবতীপুর, পাটভগবতীপুর, মহিষগোট, আবাদা, সাঁকরাইলজলা, কান্দুয়া ইত্যাদি প্রায় ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ছাড়াও ভগবতীপুর হাইস্কুল ও একাধিক প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা প্রচণ্ড অসুবিধার মধ্য দিয়ে যাতায়াত করছে। এ ছাড়া সাইকেল, রিকশা, ভ্যান, মটরবাইক এবং রেল ইয়ার্ডের প্রায় দু’শতাধিক মালবহনকারী লরি ধুলো উড়িয়ে নিত্য এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছে। পাটভগবতীপুর গ্রামের বাসিন্দা কেদারনাথ লাহিড়ি, মহিষগোট দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা শ্যামল বোধক এবং ভগবতীপুর গ্রামের বাসিন্দা কানাই বর বলেন, সাঁকরাইলের ৭৭নং বাসস্ট্যান্ড থেকে আবাদা রেল ইয়ার্ড পর্যন্ত দু’কিমি রাস্তাটি গত ২০ বছরে মেরামত হয়নি, রাস্তায় বড় বড় খানাখন্দ। বর্ষাকালে এই গর্তগুলোতে লাল মাটি ফেলার পর যানবাহনের চাকা থেকে ছিটকোনো নোংরা পথচারীদের জামাকাপড় যেমন নোংরা করে দিচ্ছে, তেমনই গ্রীষ্মে ধুলোর উৎপাত। সেই সঙ্গে শাকসব্জি, গাছগাছালি, ঘরবাড়ি সব ধুলোময় হয়ে যাচ্ছে। রাস্তাটি মেরামতের ব্যাপারে বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy