আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিল স্বাস্থ্যভবন। প্রতীকী ছবি।
অ্যাডিনোভাইরাসের কথা ভেবে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিল স্বাস্থ্যভবন। রাজ্যে সম্প্রতি যত শিশুর মৃত্যু হয়েছে, সব ক্ষেত্রেই কারণ অ্যাডিনোভাইরাস নয়। এমনটাই জানিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। তার মতে, বহু শিশুই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। ভাইরাল জ্বরেও আক্রান্ত হয়ে কারও কারও মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানিয়েছেন, এই মরসুমে বিভিন্ন ভাইরাস থেকে শিশুদের গলা ও বুকের সংক্রমণ হয়ে থাকে। বর্তমানে সেই অসুখই কিছু বেশি মাত্রায় হচ্ছে। তাই অ্যাডিনোভাইরাসের কথা ভেবে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি কিছু সতর্কতা মেনে চলার জন্য নির্দেশিকাও জারি করেছেন।
সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ রোখার জন্য কিছু পদক্ষেপ করতে হবে।
১। বারে বারে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। তা অভ্যাস করাতে হবে শিশুদেরও।
২। বাইরে থেকে এসে জামাকাপড় বদলে, হাত ধুয়ে তবেই শিশুদের কাছে যেতে হবে।
৩। ভিড় থেকে শিশুকে দূরে রাখাই ভাল। তবু যেতে হলে সকলকেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
৪। কাশি বা হাঁচির সময় রুমাল বা নিজের কনুই দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে। কফ বা থুতু যেখানে সেখানে ফেলা চলবে না।
৫। যে সব শিশুদের কোনও গুরুতর জন্মগত অসুখ বা অপুষ্টির সমস্যা রয়েছে, তাদের বিশেষ সাবধানে রাখতে হবে।
অসুখ হলে কী করতে হবে, সেই পরামর্শও দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
১। অসুস্থ শিশুকে স্কুলে পাঠানো যাবে না।
২। বড় কারও যদি সংক্রমণ হয়, তাঁকে শিশু, বৃদ্ধ এবং গর্ভবতী মহিলার থেকে দূরে থাকতে হবে।
৩। হালকা গরম নুন-জলে গার্গল করতে হবে। ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রে হালকা গরম পানীয় বারে বারে দিতে হবে।
৪। বাসক, মধু, আদা, তুলসী, লবঙ্গ কাশি কমায়। কফ পাতলা হতে সাহায্য করে। এগুলি খাওয়ানো দরকার।
৫। বুকে যদি কফ থাকে, তবে অ্যান্টিহিস্টামিন রয়েছে এমন কাফ সিরাপ খাওয়ানো উচিত নয়।
মেডিক্যাল কলেজগুলি ছাড়াও সব জেলা, মহকুমা, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। প্রয়োজনে শিশুকে সেখানে নিয়ে যেতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy