পাক্কা এক বছর আগে ‘আমপান’- এর ক্ষত এখনও পুরোপুরি মেলায়নি। এ বছর ধেয়ে আসছে ‘ইয়াস’। এই ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় আগে থেকেই সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে দুই
মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসন।
আগামী মঙ্গলও বুধবার মূলত রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাতেই ‘ইয়াস’ আছড়ে পড়ার কথা। সেই মতো পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল এলাকায় যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছে প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে দুর্বল নদীবাঁধের সংস্কার শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে এনে রাখতে ফ্লাড শেল্টারগুলিকে স্যানিটাইজ় করে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি একাধিক স্কুলভবনকে তৈরি রাখা হচ্ছে ত্রাণ শিবির হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীদের দ্রুত ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে মাছ ধরতে নদী বা সমুদ্রে যাওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ঝড়ের আগাম খবরে আতঙ্কিত কৃষকেরা।
ঝড়ে আম, কলা-সহ ফল, আনাজ নষ্ট হতে পারে। তাই সময়ের আগেই কেটে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন চাষিরা। আমপানে ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় বিভিন্ন দিনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এবার তাই আগেই বিদ্যুৎসংস্থাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। ঝড়ের পর বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে দ্রুত পানীয়, জল শুকনো খাবার পৌঁছে দিতে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। অনেক জায়গাতেই বিপজ্জনক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ঝড়ের পর দ্রুত ভাঙা গাছ সরাতে গাছ কাটার
মেশিন প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বিভিন্ন ব্লকে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুই জেলাতেই আধিকারিকদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছে জেলা প্রশাসন।