জলে গেল ৪৮ ঘণ্টার পরিশ্রম। সোমবারের ছিল ডামাডোল। মঙ্গলবার ধরা পড়ল দেশ-বিভ্রাট!
নোভেল করোনাভাইরাস বা এনসিওভি-র বাহক কি না, সেই সংশয় দূর করতে উত্তরবঙ্গের একটি জেলার এক তরুণীর খোঁজে ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা। সোমবার স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছিল, তরুণীর খোঁজ মিলেছে এবং তিনি সুস্থ আছেন। মঙ্গলবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে লিখিত ভাবে স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে, ওই তরুণী মোটেই চিন-ফেরত নন। তিনি এসেছেন ফিলিপিন্স থেকে!
এনসিওভি-তে প্রথম যে-ভারতীয় (কেরলের এক ছাত্রী) আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি ২৩ জানুয়ারি কুনমিং থেকে বিমানে কলকাতা হয়ে দেশে ফেরেন। সেই বিমানেরই দ্বিতীয় যাত্রীর করোনা-সংক্রমণ ধরা পড়ার পরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ভবন কলকাতায় আসা বঙ্গবাসী আট যাত্রীর খোঁজ শুরু করে। রবিবার জানা যায়, ওই আট জনের মধ্যে এক জন উত্তরবঙ্গের একটি জেলার বাসিন্দা। সেই তরুণীর বাড়ি গিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা কথাও বলেন। তরুণী প্রথম থেকেই বলে আসছিলেন, তিনি চিন যাননি, ফিরেছেন ফিলিপিন্স থেকে। তার পরেও তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহের জন্য তাঁকে কী ভাবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে আনা হবে, সেই পরিকল্পনা করে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু এ দিন তরুণীর সঙ্গে কথা বলে বোঝা যায়, তিনি কখনওই চিনে যাননি, ফিলিপিন্স থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। জেলা স্তর থেকে এই খবর পেয়ে দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বাস্থ্য ভবন। দিল্লিও তরুণীর বক্তব্যে সম্মতির সিলমোহর দেয়।