বৃষ্টি কমেছে। ডিভিসি জল ছাড়াও কমিয়ে দিয়েছে ধাপে ধাপে। কিন্তু হুগলির খানাকুল আর পশ্চিম মেদিনীপুরের জমা জল না-সরায় মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃহস্পতি-শুক্রবার ডিভিসি যে জল ছেড়েছিল, তার জেরে নদীগুলির জলস্তর খুব একটা কমেনি। অনেক এলাকায় তাই জল নামছে না।
খানাকুলে রবিবার জলে ডুবে এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ বারের বন্যা দক্ষিণবঙ্গে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫ (নবান্ন সূত্রে অবশ্য ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে)। ডিভিসি সূত্রে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ঝাড়খণ্ডে আর প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। তাই আজ, সোমবার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও কমবে। প্রশাসন তাই ত্রাণে নজর দিচ্ছে।
রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির এই অবনতির জন্য তৃণমূল সরকারকেই রবিবার দায়ী করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর দাবি— বন্যা মোকাবিলায় যে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল, রাজ্য তা নেয়নি। বন্যা কি ম্যানমেড? এই প্রশ্নের জবাবে সূর্যবাবুর জবাব, “ম্যানমেড কি ওম্যানমেড— তা আমি বলতে পারব না! এটা বুঝেছি, পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রাথমিক কাজটাই রাজ্য সরকার করতে পারছে না।’’