—ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি সরেজমিন খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে যেতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তার আগে সব রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতরের কাছে প্রস্তুতি রিপোর্ট তলব করল কমিশন। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন রাজ্যে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করেছে সিইও-র দফতর। সেই অনুযায়ী সব জেলা প্রশাসনের কাছে নির্দেশও পাঠাচ্ছেন দফতরের তাঁরা। ভোটের হার বাড়ানো কিংবা ইভিএম-ভিভিপ্যাটকে আমজনতার বোধগম্য করে তোলা বা প্রতিবন্ধী ভোটারদের বুথমুখী করতে কী কী পদক্ষেপ করা হবে, তার একটি প্রাথমিক নির্দেশনামা ইতিমধ্যে জেলাগুলিতে পাঠানো হয়েছে বলে এ রাজ্যের সিইও দফতরের খবর। বুথের সংখ্যা বাড়াতে বা কোনও জেলায় ভোটকর্মী কম থাকলে তা বাড়ানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
১৪ জানুয়ারি রাজ্যে চূড়ান্ত নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা। তাতে নতুন ভোটারের সংখ্যা বাড়তে পারে। তাই বাড়তে পারে বুথও। কোথাও কোথাও বুথের পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন পড়বে। এ বছর ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের সঙ্গে থাকবে ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেল (ভিভিপ্যাট)। তাই গণনা কেন্দ্রে বেশি জায়গা লাগবে। প্রয়োজনে তুলনামূলক বড় গণনা কেন্দ্র বাছাই করতেও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। গ্রেফতারি পরোয়ানা রূপায়ণ, বিভিন্ন স্তরের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সিইও-র দফতর কতটা প্রস্তুতি সারতে পেরেছে, জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে তারও সবিস্তার রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন।
কমিশন সূত্রের ব্যাখ্যা, কোনও রাজ্যের প্রস্তুতিতে যাতে সামান্যতম ঘাটতিও না-থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ঘাটতি থাকলে তা শোধরাতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারবে কমিশন। রিপোর্ট থেকে নিরাপত্তার প্রাথমিক বিষয়টিও স্থির করতে পারে তারা। তার উপরে রাজ্যে রাজ্যে ফুল বেঞ্চের সফর তো আছেই। শুক্র-শনিবার গোয়ায় গিয়ে প্রস্তুতি পর্ব সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনাও শুরু করেছে কমিশন। ফেব্রুয়ারির শেষে বা মার্চের গোড়ায় ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy