Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Manik Bhattacharya

মানিক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে কত জমি কেনা হয়েছে? উত্তর পেতে নদিয়া রেজিস্ট্রি অফিসে ইডি

রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের পৈতৃক বাড়ি নদিয়ার কালীগঞ্জে ঘোড়াইক্ষেত্র গ্রামে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে তাঁকে একাধিক বার জেরা করেছে ইডি।

রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য।

রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।

সুস্মিত হালদার, সন্দীপ পাল
কৃষ্ণনগর ও কালীগঞ্জ শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:৫১
Share: Save:

তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরে মানিক ভট্টাচার্য বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে কত জমি কেনা হয়েছে, নদিয়া জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের কাছে তা জানতে চেয়েছে ইডি। সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট করে আট জনের নামের তালিকা দিয়েছে তারা, যার মধ্যে মানিকের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, পুত্রবধূ ছাড়াও দু’টি বেসরকারি সংস্থার নাম রয়েছে।

রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের পৈতৃক বাড়ি নদিয়ার কালীগঞ্জে ঘোড়াইক্ষেত্র গ্রামে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে তাঁকে একাধিক বার জেরা করেছে ইডি। সূত্রের খবর, এ বার মানিকের স্ত্রী শতরূপা, ছেলে সৌভিক, মেয়ে স্বাতী, বৌমা অন্তরা মুখোপাধ্যায়, দাদা পান্নালাল ভট্টাচার্য ছাড়াও দেবব্রত মুখোপাধ্যায় নামে এক জনের নামে ২০১১ সালের পরে কোনও ভূসম্পত্তি কেনা হয়েছে কি না তা জানতে চেয়েছে ইডি।

নদিয়া জেলা রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে খবর, এই সময়কালে মানিকের ছেলে ও মেয়ের নামে জমি কেনা হয়েছে। ইডি-র চিঠিতে ‘দেবব্রত মুখোপাধ্যায়’ বলে এক জনের নাম থাকলেও বাবার নাম না থাকায় তাঁকে চিহ্নিত করা যায়নি। ২০০৮ থেকে জেলায় ওই নামে যত জমি রেজিস্ট্রি হয়েছে, সব ক’টিরই তথ্য ইডি-কে দেওয়া হয়েছে। যদিও নদিয়া জেলা রেজিস্ট্রার নওসাদ সাহিদ এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে চাননি।

কৃষ্ণনগরের রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে রাজারামপুর-ঘোড়াইক্ষেত্র মৌজায় সৌভিকের নামে ৩৪ শতক জমি কেনা হয়। ২০২১ সালে আবার মেয়ে স্বাতী ভট্টাচার্যের নামে স্থানীয় মহুরাপুর গ্রামে ৫৪ শতক আমবাগান কেনা হয়েছে। সেটি বিক্রি করেছেন রত্নারানি সাহা নামে এক জন, যাঁর স্বামী প্রশান্ত সাহা ঘটনাচক্রে গত বছর পাঁচেক যাবৎ পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া পশ্চিম চক্রে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে ঠিকাকর্মী।

প্রশান্তের বাবা দাসু সাহা জানান, তাঁরা সাত লক্ষ টাকায় জমি বিক্রি করেছেন। এক লক্ষ টাকা বর্ধমানে একটি সমবায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছিল, বাকি নগদে। ফোনে প্রশান্ত অবশ্য দাবি করেন, সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকায় জমিটি বিক্রি হয়েছে।

মানিককে ফোন করা হলে পরে কথা বলবেন জানিয়ে কেটে দেন। আর ফোন ধরেননি। এসএমএস বা হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার উত্তরও দেননি। সৌভিকের ফোন বন্ধ ছিল। তবে মানিকের দাদা পান্নালাল দাবি করেন, “ন্যায্য দামেই জমি কেনা হয়েছে। সেটি ঘোড়াইক্ষেত্র প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য দান করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Manik Bhattacharya ED TMC West Bengal SSC Scam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE