তবে পুলিশ সূত্রে খবর, সারদা কাণ্ডে রাজ্য পুলিশ তদন্ত শুরু করার পর তৃণমূলের একাধিক সাংসদের নাম উঠে এসেছিল। যদিও সারদা কাণ্ডে প্রথম মামলার অভিযোগকারিনী অর্পিতা ঘোষের বয়ান নথিভুক্ত করা এবং কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করা ছাড়া অন্য কোনও সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করা হয়নি।
ইডি এবং সিবিআই তদন্ত শুরু করার পরেও একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উঠে এসেছিল, তার মধ্যে সাংসদ শতাব্দীর নামও উঠে এসেছিল। কিন্তু দু’বছর তদন্ত চললেও সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।
ওয়াকিবহাল মহলের একটি অংশের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় ধরে সারদা কাণ্ডের তদন্ত চলছে। এত দিন বাদে সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই নয়। ইতিমধ্যে অবশ্য এমন অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও সরব হয়েছেন মামলাকারীরা।
এর আগে সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডির তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের একাংশের বক্তব্য, তদন্ত চলছে। কোনও অভিযোগ উঠলেই হয় না। নির্দিষ্ট তথ্যসূত্র হাতে না এলে জিজ্ঞাসাবাদ করা মুশকিল, বিশেষ করে সে তালিকায় যদি কোনও সাংসদ থাকেন। এ ক্ষেত্রে সাংসদ শতাব্দীর সঙ্গে সারদার আর্থিক যোগসূত্র সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য এসেছে। সে বিষয়ে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। তা দূর করতে সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন।
শতাব্দীর বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, জেরায় সারদার একাধিক কর্মী থেকে শুরু করে ধৃত দেবযানী মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক ব্যক্তি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, সাংসদ শতাব্দী বেশ কয়েক বার সল্টলেকের মিডল্যান্ড পার্কে সারদার মূল দফতরে যাতায়াত করতেন। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে একাধিক বার বৈঠকও করেছেন।
সে বিষয়টি নিয়ে অবশ্য ইডির এক তদন্তকারী জানান, তাঁরা মূলত আর্থিক যোগাযোগ নিয়েই প্রশ্ন করবেন। যদিও সেই প্রসঙ্গে মিডল্যান্ড পার্কে সাংসদের যাতায়াতের যদি কোনও সূত্র থাকে, তবেই সে বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।