মহিলা বাছুরদের ধারাবাহিক টিকাকরণের কর্মসূচি ঘোষণা করল ‘পশ্চিমবঙ্গ গো-সম্পদ বিকাশ সংস্থা’। প্রতীকী ছবি
করোনা সংক্রমণে দাপটের সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্যেই রাজ্যে চোখ রাঙাতে শুরু করেছিল ব্রুসেলোসিসের সংক্রমণ। এ বার তার মোকাবিলায় ধারাবাহিক টিকাকরণের কর্মসূচি ঘোষণা করল ‘পশ্চিমবঙ্গ গো-সম্পদ বিকাশ সংস্থা’। সম্প্রতি রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন ওই সংস্থা একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতি চার মাস অন্তর ব্রুসেলোসিসের টিকাকরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ওই সময়ে চার থেকে আট বছরের মহিলা বাছুরদের ব্রুসেলোসিসের টিকা দেওয়া হবে। এই কাজে মোট সাত লক্ষ ৪১ হাজার টিকা দেওয়া হবে রাজ্য জুড়ে। পাঁচটি ফোকাল পয়েন্ট মারফৎ এই টিকাগুলি ভাগ করা হবে।
মোট ২৩টি জেলার পাঁচটি ফোকাল পয়েন্টে ভাগ করা হয়েছে এই টিকাকরণ কর্মসূচির জন্য। উত্তরবঙ্গে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার ফোকাল পয়েন্ট করা হয়েছে শিলিগুড়িতে। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার ফোকাল পয়েন্ট করা হয়েছে মালদহে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতা জেলার ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাকে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর পুরুলিয়া, ও ঝাড়গ্রাম জেলার ফোকাল পয়েন্ট করা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরকে। বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার ফোকাল পয়েন্ট করা হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলাকে। ফোকাল পয়েন্ট থেকেই টিকাকরণের গতি প্রকৃতি ও ওই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে ‘পশ্চিমবঙ্গ গো-সম্পদ বিকাশ সংস্থা’।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে রাজ্য জুড়ে ফের চোখ রাঙাতে শুরু করে করোনা সংক্রমণ। তারই মধ্যেইব্রুসেলোসিসের প্রকোপ চোখে পড়ে স্বাস্থ্য ভবনের। সঙ্গে সঙ্গে এক নির্দেশিকা জারি করে এই রোগ প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলা হয়। সেই নির্দেশিকায় জানানো হয়, গবাদি পশু থেকেই ছড়ায় ব্রুসেলোসিস। তাই বিভিন্ন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের উদ্দেশে তৈরি হয়েছিল এই নির্দেশিকা। মোট ১৪টি স্বাস্থ্য জেলায় এই রোগের প্রকোপ লক্ষ করা গিয়েছিল। কিন্তু টিকাকরণের ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি রাজ্য। তাই ফোকাল পয়েন্ট গড়েই সব জেলার জন্য টিকা বরাদ্দ করছে ‘পশ্চিমবঙ্গ গো-সম্পদ বিকাশ সংস্থা’। রাজ্য কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমণের মতো যাতে ব্রুসেলোসিসের প্রকোপ বাড়তে না পারে, সেই জন্য এই পদক্ষেপ প্রয়োজনীয় ছিল। কারণ গরুদের চিকিৎসা করতে গিয়ে কয়েকজন চিকিৎসকের শরীরে ব্রুসেলোসিসের সংক্রমণ মিলেছিল গত মাসেই। তাই এ বার আর যাতে পশু চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তি যাতে সেই রোগে সংক্রমিত না হন, তা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy