Advertisement
০৩ মে ২০২৪

কোন পথে তৃণমূলের নরেশ দেবনাথের হাতে এল কার্বাইন?

পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, এক সময় অসমের জঙ্গি সংগঠন আলফা কার্বাইন ব্যবহার করত। বিহারের দুষ্কৃতীরাও তা করত।

স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র কার্বাইন। ছবি: সংগৃহীত।

স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র কার্বাইন। ছবি: সংগৃহীত।

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০১:২৫
Share: Save:

কার্বাইনের মতো মারাত্মক স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রটি কোথা থেকে এসেছে, তা নিয়ে ধন্দে পড়েছেন পুলিশের তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি মোটা টাকা দিয়ে ভিন্ রাজ্য থেকে কেনা হয়েছে। তবে কোথা থেকে কীভাবে সেটি দিনহাটার প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনায় কোনও জঙ্গি-যোগ রয়েছে বলেও পুলিশের একাংশের অনুমান।

পুরো বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হতে উচ্চপর্যায়ের একটি দল গড়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, তা জানতে দিনহাটার এসডিপিও, আইসির নেতৃত্বে ওই দল গড়া হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, “কোথা থেকে কীভাবে কার্বাইনটি অভিযুক্তের হাতে এসেছে, তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তদন্তে বিশেষ দল গড়া হয়েছে।”

পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, এক সময় অসমের জঙ্গি সংগঠন আলফা কার্বাইন ব্যবহার করত। বিহারের দুষ্কৃতীরাও তা করত। তাই ওই দুই রাজ্যের কোনও দুষ্কৃতীর যোগসাজসে অস্ত্রটি বিক্রির জন্য আনা হয়েছে, এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি বিহারের মুঙ্গের থেকেও অস্ত্রটি আসার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। মুঙ্গের থেকে কিসানগঞ্জ হয়ে উত্তরবঙ্গে অস্ত্র পাচারে একটি চক্র সক্রিয় বলে পুলিশের কাছে খবর রয়েছে। তাদের মাধ্যমে তাই অস্ত্রটি আনার আশঙ্কাও দেখা হচ্ছে।

পুলিশের এক কর্তার কথায়, কার্বাইন সহ যার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, সেই তৃণমূল নেতা নরেশ দেবনাথকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে তোলার পর ন’দিনের পুলিশ হেফাজত মিলেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সব স্পষ্ট হবে।

মঙ্গলবার ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। ২৪ ঘন্টায় কার্বাইনের ‘সাপ্লাইলাইনের’ তদন্ত কী তবে কিছুই মেলেনি? পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘অস্ত্রটি কেনা হয়েছে বলে আমাদের ধারণা দৃঢ় হয়েছে। কারণ অসমে জঙ্গিদের অনেকে আত্মসমর্পণের পর তাদের কার্বাইন বিক্রি করে দেন বলেও কিছু তথ্য উঠে এসেছে। তাই সে রকম কোন কার্বাইন স্থানীয় কারও মাধ্যমে দিনহাটায় বিক্রি করা হয়ে থাকতে পারে।’’ দিনহাটার এসডিপিও উমেশ জি গণপথ বলেন, “আরও ৮ দিন হাতে রয়েছে। তদন্তেই সব স্পষ্ট হবে।”

সম্প্রতি নিজেকে ‘দিনহাটার নাম্বার ওয়ান ডন’ দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আটিয়াবাড়ির বাসিন্দা তৃণমূল নেতা নরেশ দেবনাথের ছবি তাঁর নামের একটি প্রোফাইল থেকে পোস্ট হয়। তার পরেই পালান নরেশ। রবিবার তাঁকে ধরার পরে কার্বাইন উদ্ধার করে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE