অমৃতসর এক্সপ্রেসে নাবালিকাকে একাধিক ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে বলে মধুপুর জিআরপি-র দেওয়া রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধুপুর জিআরপি-র তদন্তকারী অফিসার অর্জুন তিওয়ারি বলেন, ‘‘ওই নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট পেয়েছি। তাঁকে একাধিক ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে বলে মেডিক্যাল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। পুরো রিপোর্ট আমরা হাওড়া জিআরপিতে পাঠিয়ে দিয়েছি।’’
নাবালিকাকে হাওড়ায় নিয়ে আসার পরে হাওড়া জিআরপি তার ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছিল। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, নাবালিকার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া য়ায়নি। তবে ধৃত সেনা দওয়ানের বিরুদ্ধে ধর্ষের অভিযোগই এনেছে তারা। তবে অভিযুক্ত দুই সেনাকর্মীকে এখনও ধরা যায়নি। ওই দুই সেনা জওয়ানের খোঁজে ঝাড়খন্ড গেল হাওড়া জিআরপির একটি তদন্তকারী দল। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দলটি মধুপুর রেল পুলিশের সঙ্গে যৌথ ভাবে তদন্তের কাজ করবে। এ দিন সেনাবাহিনীর একটি দলও হাওড়া জিআরপিতে এসে বৈঠক করে।
পড়ুন:
দুই ফেরার ফৌজির নামই মেলেনি, তদন্ত অথৈ জলে
ট্রেনে ধর্ষণকারী জওয়ানদের হদিশ পেতে সেনাবাহিনীর সাহায্য চাইল পুলিশ
ওই দুই পলাতকের হালহকিকত সম্পর্কে এখনও কোনও সুখবর জানাতে পারেনি হাওড়া জিআরপি কিংবা সেনা বাহিনী। হাওড়া জিআরপি-র যে দলটি মধপুরে গিয়েছে তারা সঙ্গে করে পলাতকদের ছবি নিয়ে গিয়েছে বলে হাওড়া জিআরপি সূত্রের খবর। অমৃতসর এক্সপ্রেস মধুপুরের পরে যে যে স্টেশনে থামে সেই স্টেশনগুলিতে গিয়ে ছবি দেখিয়ে পলাতক দুই অভিযুক্ত সম্পর্কে খোঁজ নেবেন তদম্তকারীরা।
এ দিন হাওড়া রেল পুলিশ সুপার মেহমুদ আখতার বলেন, ‘‘পলাতকদের কোনও খোঁজ মেলেনি। সমস্ত রকম সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা সেনাবাহিনীর সাহায্য নিয়ে কাজ করছি।’’ হাওড়া রেল পুলিশ সূত্রে শুধু জানা গিয়েছে, তাঁদের হাতে মধুপুর জিআরপির পাঠানো ঘটনার দিনের ভিডিও ফুটেজ তুলে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy