বিমল গুরুঙ্গ।
তিনি নিজে রোজই ডেরা পাল্টে ঘুরছেন। মুখে বলছেনও দুর্গম পাহাড়ি গ্রামে ডেরা বেঁধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা। আর তাঁর খাসতালুক দার্জিলিং পাহাড়ে ক্রমেই চাপ বাড়ছে বন্ধ তুলে আলোচনায় বসার জন্য। সেই চাপ সামাল দিতে মোর্চারই আলোচনাপন্থী নেতারা রফাসূত্র খুঁজতে রাজ্যের নানা মহলে যোগাযোগ শুরু করেছেন। এ সবের মধ্যেই মদন তামাঙ্গ খুনের মামলায় এ দিন বিমল গুরুঙ্গের নাম বাদ দিতে নির্দেশ দিল আদালত। আলোচনাপন্থীরা তাই এখন বলছেন, এর পর মোর্চা সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজ্যের আপত্তি হবে না!
রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা দ্রুত খোলার রাস্তা খুঁজতে পাহাড়ের কিছু নেতা এর মধ্যে ময়দানে নেমেছেন বলে সূত্রের খবর। পুজোর মরসুম যত এগিয়ে আসছে, ততই বন্ধ তুলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চাপ বাড়ছে মোর্চা নেতৃত্বের উপরে। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক বার জানান, তাঁরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কেন্দ্রও মোর্চাকে বৈঠকে বসতে বলেছে। কিন্তু মোর্চার সংশয়, বন্ধ তুলে নেওয়ার পরে যদি রাজ্য আলোচনায় না ডাকে! তা হলে বড় রকমের অস্বস্তিতে পড়তে হবে মোর্চাকে। রাজ্যের পাল্টা যুক্তি, আলোচনায় ডাকার পরে যদি মোর্চা বন্ধ না তোলে, সমস্যায় পড়তে হবে রাজ্যকে। এ দিন মদন তামাঙ্গ হত্যা মামলা থেকে গুরুঙ্গের নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ জানার পরে এই আলোচনাপন্থীরা তৎপর হয়ে ওঠেন। মোর্চার অন্দরের খবর, আলোচনাপন্থী নেতারা গুরুঙ্গকে বুঝিয়েছেন, তাঁর নাম চার্জশিট থেকে বাদ পড়ায় আলোচনায় বসাটা সহজ হয়ে গিয়েছে।
৮ জুন ভানুভবন থেকে পুলিশের উপরে হামলার ঘটনায়ও গুরুঙ্গের নাম অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে। কিন্তু, আলোচনা শুরু হলে সেই সব মামলা নিয়েও রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে একটা স্বস্তির রাস্তা মিলতে পারে।
এর মধ্যে বন্ধের ৬৪ দিনের মাথায় এ দিন পাহাড়ের অনেক গ্রামীণ এলাকার দোকান খুলেছে। আইজি পদমর্যাদার এক পুলিশ অফিসার জানান, গ্রামাঞ্চলে দোকানপাট খোলার প্রবণতা বাড়ছে। মোর্চার নিচুতলা থেকেও গুরুঙ্গের কাছে আলোচনায় বসার রাস্তা খোঁজার অনুরোধ গিয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনও পাহাড়বাসীকে ভরসা জোগাতে চেষ্টা করছে। তবে গ্রেফতারি অভিযানও অব্যাহত। বুধবার দার্জিলিং থেকে
মোর্চা নেতা জ্ঞান সিংহ ও কালিম্পংয়ের
তিস্তাবাজার থেকে সঞ্জিলা ছেত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সালুগাড়া থেকে গ্রেফতার হয়েছে মনজিৎ রাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy