মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মোবাইল-বার্তা পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বলেছিলেন, ‘উদ্বেগজনক (ওরিসম) বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই।’ শনিবার ওই বার্তা পেয়ে মমতা ধনখড়কে জানান, তিনি ব্যস্ত আছেন। তাই মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব রাজ্যপালের কাছে যাবেন। তাঁরা গিয়েছিলেন।
কী বিষয়ে আলোচনা হল? রাজভবন টুইট করে জানিয়েছে, রাজ্যপাল দুই শীর্ষ আমলাকে বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের মধ্যে ‘জরুরি ভিত্তিতে সমন্বয় এবং সহযোগিতা’র জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছেন। তাতে ফের বিতর্ক গড়াল। উত্তাপও বাড়ল নবান্ন এবং রাজভবনের মধ্যে। এ বার সেই উত্তাপের কেন্দ্রে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্তরে আপত্তি জানিয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির। গোড়ায় রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তার পর সীমান্তবর্তী একাধিক জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে সুর আরও চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। এলাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব মানা দূরে থাক, নিজেদের এলাকায় বিষয়টি নিয়ে সতর্ক ও কড়া অবস্থানের জন্য রাজ্য পুলিশকে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। তারপর এ দিন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকার সঙ্গে বৈঠকে ‘জরুরি ভিত্তিতে সহযোগিতা ও সমন্বয়’ ঘটাতে বলা হয়েছে।