আলের চিহ্ন মুছে যাওয়া বিশাল জমিটার মাপজোক কী ভাবে হবে, তা নিয়ে প্রথম দিন কিছুটা জড়তা ছিল প্রশাসনের। কিন্তু শনিবার, দ্বিতীয় দিনে সিঙ্গুরের অধিগৃহীত জমি চিহ্নিত করার কাজে গতি এল। ব্যবহার শুরু হল ‘জিপিএস’ (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) প্রযুক্তির। দফায় দফায় বৃষ্টিও কাজের গতিকে রোধ করতে পারেনি।
টাটা প্রকল্পের জন্য সিঙ্গুরের অধিগৃহীত জমি ১২ সপ্তাহের মধ্যে চাষিদের ফিরিয়ে দিতে হবে, এটাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। সেই সময়সীমা মানতে শুক্রবার থেকেই কাজে নামে প্রশাসন। কাজে গতি বাড়াতে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা, কৃষি দফতর, ভূমি দফতর, কলকাতা পুরসভা-সহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার অন্তত ২৫০ কর্মী শনিবার মাঠে নামেন। আনা হয় ১২টি জিপিএস যন্ত্র। তা বসিয়ে দেওয়া হয় প্রকল্প এলাকার নানা প্রান্তে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে জমি সঠিক ভাবে এবং দ্রুত চিহ্নিত করা যাবে বলে সরকারি আধিকারিকদের আশা। একই সঙ্গে অবশ্য ভূমি দফতরের আমিনরা প্রকল্প এলাকার বাইরে থাকা জমির দাগ নম্বরও চিহ্নিত করেন।
এই কর্মযজ্ঞ তদারক করতে এ দিন সিঙ্গুর ঘুরে যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রকল্প এলাকায় ক্যাম্প করে থাকা হুগলির জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। পার্থবাবু জানান, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিত পথে চাষযোগ্য করেই চাষিদের জমি ফেরাতে সরকার বদ্ধপরিকর। তবে, প্রকল্প এলাকায় টাটাদের কারখানার শেড বা বড় জলাগুলির কী গতি হবে, সে ব্যাপারে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন। অবশ্য ইতিমধ্যেই বুলডোজার চলে এসেছে। এসেছে ড্রোনও। প্রকল্প এলাকায় বিদ্যুতের যে সাব-স্টেশন রয়েছে, এ দিন থেকে তা সরানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়। মানুষ-সমান ঘাস দ্রুত সাফ করার কাজও চলে। কলকাতা পুরসভা থেকে এ জন্য আধুনিক যন্ত্র আনা হয়েছে।