Advertisement
E-Paper

থ্যালাসেমিয়া দমনে সর্বস্তরে টিসিইউ

রাজ্যের থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণের কাজে খুশি নয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। অভিযোগ, নতুন আক্রান্ত হওয়া রোগীর হিসেব কিংবা রোগী পরিষেবার অবস্থা নিয়ে প্রয়োজনীয় পরিসংখ্যান ও নথি অনেক ক্ষেত্রেই জেলাস্তর থেকে সময় মতো মিলছে না।

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:২০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যের থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণের কাজে খুশি নয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। অভিযোগ, নতুন আক্রান্ত হওয়া রোগীর হিসেব কিংবা রোগী পরিষেবার অবস্থা নিয়ে প্রয়োজনীয় পরিসংখ্যান ও নথি অনেক ক্ষেত্রেই জেলাস্তর থেকে সময় মতো মিলছে না। তাই থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণ নতুন করে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন নির্দেশ জারি হয়েছে। সেই অনুযায়ী, প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সুপার কিংবা ডেপুটি সুপারের হাতে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল প্রোগ্রামের দায়িত্ব থাকবে। কমবয়সিদের থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করানো, তথ্য সংগ্রহ করা এবং পুরনো রোগীরা পরিষেবা পাচ্ছেন কি না, খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। মহকুমা স্তরের হাসপাতালে সুপার এবং জেলাস্তরে এই পরিদর্শনের দায়িত্বে থাকবেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ২ (সিএমওএইচ ২)। তবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কিংবা এনআরএস এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। ওই দুই হাসপাতালে কাজের পর্যবেক্ষণ করবেন হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান।

এমনিতে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে চলে হিমোগ্লোবিনোপ্যাথিস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম। তার অধীনেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণের কাজ চলে। এই প্রকল্পে মূলত নতুন কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন কি না, দেখা হয়। পাশাপাশি, রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া এবং গর্ভবতী মায়েরা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত কি না সেই রেকর্ড রাখার কাজ চলে। কিন্তু এ রাজ্যে স্কুলস্তরে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা কত কিংবা থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত গর্ভবতীর সংখ্যা বাড়ছে কি না— এ সব উত্তর রাজ্যের সমস্ত হাসপাতাল থেকে বহু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়া যায় না। তাই প্রত্যেক সরকারি হাসপাতালে পৃথক থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিট (টিসিইউ) তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ রাজ্যে নবম শ্রেণি থেকে পড়ুয়াদের থ্যালাসেমিয়া রয়েছে কি না যাচাই করা হয়। কিন্তু অনেক সময়েই জেলা হাসপাতালগুলোর তথ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে দেরিতে আসছে। রাজ্যের তরফে বিষয়টি দেখভালের জন্য কলকাতার দু’টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের চিকিৎসককে নোডাল অফিসার নিযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তথ্য জোগাড় এবং যাচাইয়ের কাজে সন্তুষ্ট নয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাই এই কাজ ভাগ করে দেওয়া হল।

Thalassemia থ্যালাসেমিয়া
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy