পরিষদীয় সচিব আইন বাতিল করে প্রথমিক ধাক্কাটা মাস দু’য়েক আগে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকার। কিন্তু মিলল না স্থগিতাদেশ। উল্টে তিন সপ্তাহের মধ্যে সব পক্ষকে তাদের বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চার সপ্তাহ পরে হবে মামলার শুনানি।
আইন মোতাবেক রাজ্য বা কেন্দ্র কোথাওই সংশ্লিষ্ট আইনসভার মোট সদস্য-সংখ্যার ১৫ শতাংশের বেশি মন্ত্রী করা যায় না। সেই হিসেবে ২৯৪ বিধায়কের রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গে মন্ত্রী হতে পারেন সর্বাধিক ৪৪ জন। ২০১৩ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রতিমন্ত্রী মর্যাদার সমতুল পরিষদীয় সচিব পদ তৈরি করেন। এই পরিষদীয় সচিবরা সাধারণ এক জন মন্ত্রীর মতোই নীল বাতির গাড়ি, আর্দালি, ব্যক্তিগত সচিব পাওয়ার অধিকারী। দু’বছরের মধ্যে পরিষদীয় সচিবের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৩। গত জুনে সেই ‘পশ্চিমবঙ্গ পরিষদীয় সচিব (নিয়োগ, বেতন, ভাতা ও আনুষঙ্গিক নিয়মবিধি) আইন, ২০১২’-এর সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেটি খারিজ করে হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। রাজ্যের প্রধান দাবি ছিল, মামলা চলাকালীন হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিক শীর্ষ আদালত। এ দিন কিন্তু রাজ্যের সেই আবেদন খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। চার সপ্তাহ পরে হবে পরবর্তী শুনানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy