একটি নামী সংস্থার সোনার দোকানে লুঠপাট চালিয়ে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তাদের খোঁজে নেমে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে তদন্তকারীরা দেখেছিলেন, ক্যামেরা রয়েছে তা আঁচ করে দুষ্কৃতীরা ওই সব এলাকা দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে গাড়ি ছুটিয়ে গিয়েছে। এমন ভাবে ক্যামেরার উপরে হেডলাইটের আলো ফেলা হয়েছে যে তাতে গাড়ির নম্বর ধরাই পড়েনি। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ থেকে মাদক ও সাপের বিষ পাচারকারীরাও একই পন্থা অবলম্বন করে পালিয়ে যেতে পেরেছে। ওই সব ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার কলকাতা-সহ শহরতলির গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুগুলিতে বসানো হচ্ছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দামি ক্যামেরা।
পুরো নাম অটোম্যাটিক নম্বর প্লেট রিডার (এএনপিআর) ক্যামেরা। এক-একটির দাম ৫ লক্ষ টাকারও বেশি। ক্যামেরাটির বিশেষত্ব হল, এখানে যে কোনও গাড়ির নম্বর স্বয়ংক্রিয় ভাবে ধরা পড়বে। ইতিমধ্যেই হাওড়া এবং বিধাননগরের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এখন আরও ৫টি এমন ক্যামেরা বসানো হচ্ছে বারাসতের চাঁপাডালি, ডাকবাংলো মোড় এবং কলোনি মোড়ের মতো এলাকায়। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অপরাধ দমন এবং ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘন রুখতে এই ক্যামেরা সাহায্য করবে।’’
সাধারণ সিসি ক্যামেরার তুলনায় এই ক্যামেরার বিশেষত্ব কী?