Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Tarakeshwar Station

২৪ কোটিতে সাজবে তারকেশ্বর স্টেশন

ভবিষ্যতে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত রেল পরিষেবা সম্প্রসারিত হলে ওই স্টেশন তীর্থকেন্দ্রিক পর্যটনের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠবে।

এ ভাবেই সেজে উঠবে তারকেশ্বর স্টেশন।

এ ভাবেই সেজে উঠবে তারকেশ্বর স্টেশন। ছবি: পূর্ব রেলের সৌজন্যে।

ফিরোজ ইসলাম 
শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:৪০
Share: Save:

ব্যান্ডেল, শেওড়াফুলির পরে এ বার অমৃত ভারত প্রকল্পে হুগলির তারকেশ্বর স্টেশনকে ঢেলে সাজতে চলেছে পূর্ব রেল। এ জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ২৪.৪ কোটি টাকা।

পূর্ব রেল সূত্রের খবর, যাত্রীদের ভবিষ্যৎ চাহিদা অনুযায়ী পর্যায় ক্রমে একাধিক পরিকাঠামো উন্নত করার মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। স্টেশন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় যাত্রীদের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে পৌঁছনোর সুবিধার জন্য ১২ মিটার প্রশস্ত ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ ছাড়াও স্টেশনে যাত্রীদের ঢোকা এবং বের হওয়ার পরিসর প্রশস্ত করা হবে।
তীর্থযাত্রীদের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে স্টেশনে উঁচু, প্রশস্ত এবং দৃষ্টিনন্দন শেড তৈরি করা হবে।

অন্যতম এই শৈবতীর্থে শ্রাবণ মাস জুড়ে কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থী আসেন। এ ছাড়াও বছরভর ভিড় লেগে থাকে। ভবিষ্যতে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত রেল পরিষেবা সম্প্রসারিত হলে ওই স্টেশন তীর্থকেন্দ্রিক পর্যটনের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠবে। সেই ভাবনা থেকেই স্টেশনের বাইরের সজ্জাও বদল করা হচ্ছে। আলো-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো উন্নত করা হচ্ছে। বিষ্ণুপুর এবং বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ অংশের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে তারকেশ্বর স্টেশন ভৌগোলিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘নিয়মিত যাত্রী এবং তীর্থযাত্রীদের বৃহত্তর স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে ওই স্টেশন উন্নয়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রকল্প রূপায়িত হলে তারকেশ্বর স্টেশনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।’’

তবে, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর (৮২.৪৭ কিমি) রেলপথ নির্মাণের ক্ষেত্রে গোঘাটের ভাবাদিঘিতে
জমি-জট এখনও কাটেনি। এ ছাড়া, পশ্চিম অমরপুরে জমির দাম নিয়ে সমস্যা মিটলেও নিকাশি এবং আন্ডারপাসের দাবির এখনও সুরাহা হয়নি। এ নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছে রেল ও প্রশাসন।

তবে, ভাবাদিঘিতে দিঘির একাংশ বুজিয়ে রেলপথ নির্মাণের বিরোধিতা এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য আশা করছেন, ভাবাদিঘির জমি জট কাটিয়ে দ্রুত তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথের কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হবে।

রেলের দাবি, ভাবাদিঘিতে ১৯১ জন জমিদাতার সম্মতি মিলেছে। এখনও ৭৭ জনের কাছ থেকে সম্মতি পাওয়া যায়নি। তবে, স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে ওই জট কাটানোর চেষ্টা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tarakeshwar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE