‘আগের দু’দফায় কাজ তেমন এগোয়নি। ফের ২৭ নভেম্বর থেকে হুগলি জেলা-সহ রাজ্য জুড়ে গ্রামীণ এলাকার ১০০ শতাংশ পরিবারের শৌচাগার নিশ্চিত করতে বিশেষ প্রচারাভিযান শুরু হল। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জেলার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সব অসমাপ্ত শৌচাগার নির্মাণ সম্পূর্ণ করতে হবে এবং ৩০ জানুয়ারির মধ্যে জেলা উন্মুক্ত বা প্রকাশ্য শৌচমুক্ত (ওডিএফ) হয়েছে, এ সংক্রান্ত শংসাপত্র পাঠাতে হবে বলে নির্দেশ রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের।
গত ২৪ নভেম্বর জেলা প্রশাসনে পাঠানো এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, গ্রামে ১০০ শতাংশ শৌচাগার নিশ্চিত করতে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হয়েছে। কিন্তু জেলাগুলিতে সেই কাজ কাঙ্ক্ষিত স্তরে পৌঁছয়নি। এখনও বেশ কিছু পরিবার রয়েছে, যাদের শৌচাগার নেই বলে বিভিন্ন সূত্রে তথ্য মিলেছে। নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে সেই সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ ছাড়াও শৌচাগার না থাকা পরিবার খুঁজে বের করতে হবে। সেই খোঁজার কাজটা করবেন পঞ্চায়েতের আবাস-বন্ধু, গ্রামসম্পদ কর্মী (ভিআরপি), মশাবাহিত রোগ দমনে নিযুক্ত কর্মী (ভিভিডিসি) বা নিয়োগ করা যে কোন স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা উপভোক্তাকে শৌচাগার নির্মাণে উৎসাহিত করবেন। এ জন্য তাঁদের শৌচাগার প্রতি ১৫০ টাকা করে দেওয়া হবে।
হুগলি জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “গত জুন মাস থেকেই ব্লকগুলিতে এই কাজ চলছে। সেই কাজ আরও জোরদার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই জেলার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলিতে মোট ৯ হাজার ৯৩৭টি শৌচাগার নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়নি। এর মধ্যে ২০২৩-২০২৪ অর্থবর্ষের পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিভিন্ন ব্লকে মোট লক্ষ্যমাত্রা এক হাজার পরিবারের শৌচাগার। সেগুলির মধ্যে ৫৮৯টি পরিবার ইতিমধ্যে উপযুক্ত উপভোক্তা বলে চিহ্নিত হয়েছে। বাকি ৪১১টি পরিবার উপযুক্ত উপভোক্তা কি না, তার অনুসন্ধান চলছে। এ ছাড়াও স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রকল্পে ব্যক্তি মালিকানার শৌচাগার নির্মাণ বাকি আছে ৯ হাজার ৬০৬টি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সঙ্গে শৌচাগার নির্মাণ বাকি ৩১১টি।
প্রকল্পটি সফল করতে গত ১ জুন থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত একদফা ৫৫ দিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। ওই সময়ে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ায় তা এগোয়নি। ফের ১ অগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬১ দিনের ওই অভিযান চলে। তাতেও কাজের বিশেষ অগ্রগতি হয়নি বলে জেলা প্রশাসনের একাংশ মানছে। এ বার উপভোক্তা আগে শৌচাগার বানাবেন, তা যাচাই করে ৭ দিনের মধ্যে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ১২ হাজার ৪০০ টাকা যাবে বলে জেলা গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)