Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Howrah Principal Recruitment

প্রাথমিকে নয়া পদ্ধতির নিয়োগে গুরুত্ব যোগ্যতায়

সংসদ সূত্রে খবর, আগে এক একটি চক্রে প্রধান শিক্ষকের যত শূন্যপদ থাকত, সেই চক্রের সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্যে থেকে একটি প্যানেল করে তার মাধ্যমে নিয়োগ করা হত।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৩ ০৬:০৮
Share: Save:

আগে প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে গুরুত্ব দেওয়া হত অভিজ্ঞতাকে। শিক্ষা দফতরের তরফে দেওয়া হত না বিজ্ঞাপনও। কিন্তু চলতি বছরের প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে বেশ কিছু বদল হয়েছে। হাওড়া জেলায় প্রধান শিক্ষকের ৮০৬টি শূন্য পদের জন্য দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞাপন। তাছাড়া অভিজ্ঞতার বদলে গুরুত্ব পেয়েছে গুণমান ও যোগ্যতা।

কেন এমন বদল?

সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ ঘোষের কথায়, ‘‘আগে শুধুমাত্র অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হত। তাঁদের এই পদে কাজ করার যোগ্যতা আছে কিনা তা যাচাই করে দেখা হত না। ফলে কম যোগ্যতাসম্পন্ন কেউ হয়তো একটা ভাল স্কুলে প্রধান শিক্ষক হয়ে গেলেন। কিন্তু সেই স্কুল চালানোর ক্ষেত্রে তার যথেষ্ট যোগ্যতা না থাকায় স্কুলটির ক্ষতি হয়ে গেল। আবার বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন কোনও শিক্ষক হয়তো একটি কম গুণমান সম্পন্ন স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসাবে বহাল হলেন। এতে তার যোগ্যতার প্রতি সুবিচার করা হল না।’’ নয়া পদ্ধতিতে এই ‘অবিচার’ হবে না বলেই বিশ্বাস চেয়ারম্যানের।

সংসদ সূত্রে খবর, আগে এক একটি চক্রে প্রধান শিক্ষকের যত শূন্যপদ থাকত, সেই চক্রের সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্যে থেকে একটি প্যানেল করে তার মাধ্যমে নিয়োগ করা হত।

এ বার সিনিয়রদের নিয়ে চক্রভিত্তিক শূন্য পদের অনুপাতে প্যানেল তৈরি করা হবে। কিন্তু নিয়োগের আগে প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের যোগ্যতামান পরীক্ষা করে নেওয়া হবে। সংসদ সূত্রের খবর, ন্যূনতম পাঁচ বছর জেলার সরকারি প্রাথমিক স্কুলে সহকারি শিক্ষক হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ থাকলে তবেই আবেদন করা যাবে।

সংসদ সেই আবেদনের ভিত্তিতে শূন্য পদের সংখ্যার অনুপাতে চক্রভিত্তিক প্যানেল তৈরি করবে। প্যানেলের মধ্য থেকে যাঁদের বিভিন্ন স্কুলে পোস্টিং দেওয়া হবে তাঁদের গুনমান এবং যোগ্যতা যাচাই করে নেওয়া হবে।

কী ভাবে যাচাই করা হবে যোগ্যতামান?

সংসদ সূত্রের খবর, প্যানেলে যে সব শিক্ষক অন্তর্ভূক্ত হবেন বিগত দু’টি শিক্ষাবর্ষে তাঁরা কী কাজ করেছেন তার একটি স্ব-মূল্যায়ন করা হবে। সংসদ থেকেই তাদের এই স্ব-মূল্যায়ণের ফর্ম দিয়ে দেওয়া হবে। তাতে কয়েকটি প্রশ্ন থাকবে। পাশেই থাকবে নম্বর। প্রার্থীদের নিজেদেরই প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।

তারপরে প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। তাতে অনেক দিক খতিয়ে দেখা হবে। এমনকী স্কুল চালাতে গেলে যে মানসিক চাপ নিতে হয়, তা সামলানোর ক্ষমতা ওই প্রার্থীর আছে কিনা তাও দেখা হবে। দরকারে মৌখিক পরীক্ষার সময়ে একজন মনোবিদ রাখা হবে।

এই স্ব-মূল্যায়ণ ও মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে যাঁরা বেশি নম্বর পাবেন তাঁদের সামনে ভাল স্কুলের তালিকা রাখা হবে। সেখান থেকে তাঁরা পছন্দমতো স্কুল বেছে নিতে পারবেন। যাঁরা তুলনায় কম নম্বর পাবেন, তাঁদের যে স্কুল দেওয়া হবে সেখানেই যেতে হবে।

আমতার একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত শিক্ষক সংগঠনের নেতা পিন্টু পাড়ুই বলেন, ‘‘নয়া পদ্ধতি নিয়ে আমাদের কিছু আপত্তি আছে। তবে দীর্ঘদিন পরে জেলায় প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ হচ্ছে। তাই এখনই কিছু বলছি না। নিয়োগ হওয়ার পরে এর কার্যকারিতা দেখে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Uluberia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE