E-Paper

গ্রামোন্নয়নের নির্মাণ সামগ্রী যাচাইয়ে হচ্ছে পরীক্ষাগার

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামোন্নয়নের বিভিন্ন নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী-সহ কাজের গুণগত মান নিয়ে অনেক অভিযোগ থাকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:৩৭
কামারপুকুর পঞ্চায়েতের সেই পরীক্ষাগার। নিজস্ব চিত্র

কামারপুকুর পঞ্চায়েতের সেই পরীক্ষাগার। নিজস্ব চিত্র

গ্রামোন্নয়নে রাস্তা-সহ বিভিন্ন নির্মাণের গুণমান নিশ্চিত করতে নির্মাণ সামগ্রী পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ বার তা যাতে হাতের কাছেই করা যায়, সেই মতো সরকারি পরীক্ষাগার তৈরিও শুরু হল হুগলিতে। প্রতিটি ব্লকের মধ্যবর্তী কোনও পঞ্চায়েত বা যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল, এমন পঞ্চায়েত বেছে নিয়ে সেখানে পরীক্ষাগারের পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর।

জেলা গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “গ্রামীণ উন্নয়ন পরিকাঠামো তহবিল থেকে পরীক্ষাগার নির্মাণ হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের নিজস্ব পৃথক ঘর থাকলে শুধু যন্ত্রপাতির জন্য ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হচ্ছে। ঘর না থাকলে পৃথক আরও ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ধার্য হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে জেলার গোঘাট-১ ব্লকের গোঘাট পঞ্চায়েত, গোঘাট-২ ব্লকের কামারপুকুর পঞ্চায়েত-সহ ৯টি ব্লকে সেই কাজ চলছে। শীঘ্রই পরীক্ষাগারে যন্ত্রপাতিও বসানো হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামোন্নয়নের বিভিন্ন নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী-সহ কাজের গুণগত মান নিয়ে অনেক অভিযোগ থাকে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বলে প্রমাণও মেলে অনেক ক্ষেত্রে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে কেন্দ্রের ওই নির্দেশিকা সব জেলাশাসকের কাছে পাঠানো হয়।

দফতরের বিশেষ সচিবের পাঠানো সেই চিঠিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় আইএসজিপি তথা পঞ্চায়েতের প্রাতিষ্ঠানিক সশক্তিকরণ প্রকল্প, পঞ্চদশ অর্থ কমিশন ইত্যাদি তহবিলের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজের ক্ষেত্রে উপাদান (মেটিরিয়াল) বহু জায়গায় নিম্ন মানের দেখা গিয়েছে। এতে রূপায়িত প্রকল্পটির স্থায়িত্বে প্রভাব পড়ছে। এ বার সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদারকে সেই সব উপাদান পরীক্ষা করাতে হবে। তারপরেই তহবিল ছাড়তে হবে। প্রকল্পগুলি রূপায়ণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত উপাদনের গুণমান নিশ্চিত করতে যথাযথ নজরদারিও করতে হবে।

বিভিন্ন ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি কাজের পর সেটির টাকা পরিশোধের ছাড়পত্র দিতে সংশ্লিষ্ট ব্লকের আইএসজিপি প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ, ব্লক প্রশাসনের বিশেষজ্ঞ এবং পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক নিয়ে তিন জনের কমিটি ছিল। কিন্তু তার পরেও পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন কংক্রিটের রাস্তা, নিকাশি নালা, কালভার্ট, প্রাচীর-সহ নানাবিধ নির্মাণে গরমিলের প্রচুর অভিযোগ উঠছিল। এ বার পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থায় সেটা অনেকটাই রোধ হবে বলে বিডিওরা মনে করছেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy