Advertisement
E-Paper

সমাধান অধরাই, আন্দোলনে নামলেন হাওড়া পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারেরা

বুধবার দুপুরে টেকনিক্যাল স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, ৬০ জনেরও বেশি ইঞ্জিনিয়ার পুর কমিশনার ধবল জৈনের অফিসের সামনে চেয়ার নিয়ে বসে পড়েন। অনেকে সিঁড়িতেও বসেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:০৯
হাওড়া পুরসভায় দুপুর দেড়টা থেকে এই বিক্ষোভ চলে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত।

হাওড়া পুরসভায় দুপুর দেড়টা থেকে এই বিক্ষোভ চলে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। ফাইল ছবি।

‘সরকারি’ চাকরির দাবিতে পুর কমিশনারের ঘরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন ইঞ্জিনিয়ারেরা। পূর্ব ঘোষণা মতো বুধবার অর্ধদিবস ছুটি নিয়ে ঠিকাকর্মীর তকমা ঘোচানোর জন্য হাওড়া পুরসভায় দুপুর দেড়টা থেকে এই বিক্ষোভে ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে যোগ দেন দীর্ঘদিন পেনশন না-পাওয়া প্রাক্তন কর্মচারীরাও। বিক্ষোভ চলে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে টেকনিক্যাল স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, ৬০ জনেরও বেশি ইঞ্জিনিয়ার পুর কমিশনার ধবল জৈনের অফিসের সামনে চেয়ার নিয়ে বসে পড়েন। অনেকে সিঁড়িতেও বসেন। তাঁদের হাতে ছিলপ্ল্যাকার্ড, পোস্টার। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এগ্‌জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পদমর্যাদার লোকজনও ছিলেন। বিক্ষোভকারীরা জানান, তাঁরা সরকারি পরীক্ষা দিয়ে পুরসভায় চাকরিতে ঢুকেছিলেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বেতন ও সব সুবিধা পেতেন। সম্প্রতি রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের নির্দেশে তাঁরা জানতে পেরেছেন, কর্মজীবনের প্রায় ২০ বছর তাঁরা সরকারি কর্মী ছিলেনই না! ছিলেন ঠিকাকর্মী। তাই ওই ২০ বছরে পাওয়া টাকার বেশ বড় একটি অংশ ফেরত দিলে তবেই মিলবে অবসরকালীন সুবিধা। এই সমস্যার কোনও সমাধান গত কয়েক দিনেও না হওয়ায় তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন বলেজানানো হয়েছে।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অরুণাভ মজুমদার বলেন, ‘‘আমরা জরুরি পরিষেবা অর্থাৎ পানীয় জল, সাফাই, নিকাশি দফতর বাদ রেখে এই আন্দোলন করছি। কিন্তু এত দিন চাকরি করার পরে আমাদের প্রতি যে বঞ্চনা করা হচ্ছে, তার প্রতিবাদে লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করব। তাতেও সুরাহা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।’’

রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম পুরসভার সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারের গণছুটি নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের ঘটনা প্রসঙ্গে পুর চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গণতন্ত্রে প্রতিবাদ করার স্বাধীনতা সকলের আছে। কিন্তু যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা সকলে উচ্চশিক্ষিত এবং দায়িত্বশীল। মানুষকে পরিষেবা দেওয়া তাঁদের কাজ। এ ভাবে কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করার বিষয়ে তাঁদের এক বার ভেবে দেখা উচিত। আমরা তাঁদের বিষয়টি রাজ্য সরকারের সবোর্চ্চ স্তরে জানিয়েছি। রাজ্যের মুখ্যসচিবকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। এই সমস্যা যাতে মিটে যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

Strike Howrah Municipal Corporation Engineers
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy