Advertisement
০২ মে ২০২৪
WB Education Department

স্কুল ক্রীড়ার প্রথম পর্যায়ের শেষেও মেলেনি টাকা, ক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা

অঞ্চলভিত্তিক প্রতিযোগিতা করার জন্য স্কুলশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হয়। তারাই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। একটি অঞ্চলে গড়ে ১৫টি করে স্কুল থাকে।

An image of school sports

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:১১
Share: Save:

স্কুল ক্রীড়ায় হাওড়া জেলার অঞ্চলভিত্তিক প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। কিন্তু স্কুলশিক্ষা দফতর থেকে সেই বাবদ একটি টাকাও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষকদের গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে ওই প্রতিযোগিতা শেষ করতে হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল ওই প্রতিযোগিতা।

অঞ্চলভিত্তিক প্রতিযোগিতা করার জন্য স্কুলশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হয়। তারাই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। একটি অঞ্চলে গড়ে ১৫টি করে স্কুল থাকে। পড়ুয়াদের খাওয়াদাওয়া, বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া, স্কুল থেকে প্রতিযোগিতার মাঠ পর্যন্ত পড়ুয়াদের যাতায়াত খরচ, প্রতিযোগিতার স্বেচ্ছাসেবকদের খাওয়াদাওয়া— সব মিলিয়ে অঞ্চলপ্রতি গড়ে ২৫ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে বলে শিক্ষকেরা জানিয়েছেন। এর মধ্যে যে অঞ্চলে প্রতিযোগিতা হয়েছে, সেই গ্রাম পঞ্চায়েতকে পুরস্কার কেনার জন্য হাজার পাঁচেক টাকা করে দিয়েছে। বাকি টাকা চাঁদা তুলে খরচ করতে হয়েছে শিক্ষকদের। কোথাও শিক্ষকদের ৫০০ টাকা, কোথাও হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ।

জেলা স্কুল শিক্ষা সংসদের সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ স্বীকার করেন, অঞ্চল পর্যায়ে আলাদা করে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য টাকা বরাদ্দ নেই। তিনি বলেন, ‘‘টাকা বরাদ্দ হয় সার্কেল স্তরের প্রতিযোগিতা থেকে। সেই টাকা থেকেই অঞ্চল স্তরের প্রতিযোগিতার জন্য কিছু টাকা দেওয়া হয়।’’ শিক্ষকদের অভিযোগ, সেই টাকাও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আসেনি। শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে টাকা অঞ্চল কমিটির হাতে চলে যাবে।’’ অঞ্চলভিত্তিক প্রতিযোগিতার পরে রয়েছে সার্কেল স্তরের প্রতিযোগিতা। তার পরে হবে মহকুমা ও জেলা স্তরের প্রতিযোগিতা।

আমতা ১ ব্লকের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা বিজেপি প্রভাবিত প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক সংগঠনের নেতা পিন্টু পাড়ুই বলেন, ‘‘টাকা আগাম না দিয়ে তড়িঘড়ি কেন অঞ্চল পর্যায়ের প্রতিযোগিতা শেষ করতে বলা হল? পঞ্চায়েত শুধু পুরস্কার কিনে দিয়েছে। বাকি খরচ মেটাতে শিক্ষকদের থেকে জোর করে টাকা নেওয়া হয়েছে।’’ সংসদ সভাপতি বলেন, ‘‘আমরা বলেছি, একটি পয়সাও চাঁদা নেওয়া যাবে না। দরকারে প্রতিযোগিতার খরচ কমাতে হবে। অনেক অঞ্চলে আড়ম্বর হয়। তা না করলেই খরচ কমে।’’ জোর করে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল প্রভাবিত প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি নির্মল যাদব। তিনি বলেন, ‘‘জোর করে চাঁদা নেওয়া হয় না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে টাকা কম পড়ে। তখন শিক্ষকেরা স্বেচ্ছায় টাকা দেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sports School Sports WB Education
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE