সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে আটক বালি বোঝাই ট্রাক। — নিজস্ব চিত্র।
দূষণের শংসাপত্র ছাড়া নদীর বালিখাদ থেকে বালি তোলা যাবে না বলে নির্দেশ রয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালতের। তার জেরে সব বালিখাদ থেকে আপাতত বালি তোলা বন্ধের নির্দেশ রয়েছে সরকারের। কিন্তু পুলিশের মদতে পুরশুড়ার মুণ্ডেশ্বরী নদী থেকে অবাধে বালি লুঠের অভিযোগ আগেই উঠেছিল। বুধবার রাতে বালি বোঝাই একটি ট্রাকের ধাক্কা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় এক কিশোর। এর পরেই বালি লুঠ বন্ধের দাবিতে প্রায় ৫০টি বালি-বোঝাই ট্রাক আটকে মারকুণ্ডা সংলগ্ন খুশিগঞ্জ-সোদপুর রোডে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা।
পুলিশ বালি লুঠে মদতের অভিযোগ মানেনি। বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে যান সেচ দফতরের চাঁপাডাঙ্গার মুণ্ডেশ্বরী ডিভিশনের আধিকারিকেরা। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ এবং দফতরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’ এ ব্যাপারে জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “বেআইনি বালি তোলার ঘটনায় সেচ দফতরের পাশাপাশি পুলিশও আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মারকুণ্ডা গ্রাম সংলগ্ন মুণ্ডেশ্বরীতে দু’টি বালিখাদ আছে। সেখান থেকে অবৈধ ভাবে বালি পাচার হয় বলে অভিযোগ। বুধবার একটি খাদ বন্ধ থাকলেও শ্যামসুন্দর মণ্ডল ওরফে বাবুয়ার ‘লিজ’ নেওয়া বালিখাদ থেকে বালি বোঝাই হয়ে লরি এবং ট্রাক্টরগুলি বেপরোয়া গতিতে খুশিগঞ্জ-সোদপুর রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। সন্ধ্যায় সোঁয়ালুক গ্রামের কাছে এক কিশোর এ রকমই একটি লরির ধাক্কা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেতেই আশপাশের ৭-৮টি গ্রামের শ’তিনেক মানুষ একযোগে পঞ্চাননতলা থেকে সোঁয়ালুক পর্যন্ত প্রায় তিন কিমি রাস্তা ঘিরে বালি বোঝাই লরি আটকে দেন। বিক্ষোভের জেরে পুলিশ ফিরে যায়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি বালি বোঝাই করে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ছোটায় দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তাঘাট ভাঙছে। তাঁদের দাবি, ‘‘বালি লুঠ বন্ধে প্রশাসন অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক। বালিখাদ দু’টিও বন্ধ করা হোক।’’
যাঁর বালিখাদ থেকে বালি লুঠের অভিযোগ, সেই শ্যামসুন্দর মণ্ডল মেনে নিয়েছেন, বালি তোলা বেআইনি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে চার মাসেরও বেশি সরকারি টালবাহানার জেরে শ্রমিকেরা পেট চালাতে এই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy