Advertisement
০৬ মে ২০২৪
বন্ধ ফি আদায়

প্রতিদিন ৬০ লক্ষ টাকা হারাচ্ছে দু’টি টোলপ্লাজা

কয়েক মাস ধরেই দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের দু’প্রান্তের দুই টোলপ্লাজায় ‘টোল’ আদায় ছিল নিম্নমুখী। এ বার নোট বাতিলের ধাক্কায় কেন্দ্র সরকারের নির্দেশে টোল আদায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দু’টি টোলপ্লাজা প্রতিদিন ৬০ লক্ষ টাকা হারাচ্ছে।

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়
ডানকুনি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৬ ০২:০০
Share: Save:

কয়েক মাস ধরেই দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের দু’প্রান্তের দুই টোলপ্লাজায় ‘টোল’ আদায় ছিল নিম্নমুখী।

এ বার নোট বাতিলের ধাক্কায় কেন্দ্র সরকারের নির্দেশে টোল আদায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দু’টি টোলপ্লাজা প্রতিদিন ৬০ লক্ষ টাকা হারাচ্ছে। কেন্দ্র সরকার টোল না-নেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোয় আপাতত এই পরিস্থিতিই জারি থাকছে।

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক কর্তা বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতি তো আর টানা চলবে না। নোটের সমস্যা মিটলেই পরিকল্পনামাফিক কাজ শুরু হবে। যে ক’দিন টোল নেওয়া বন্ধ থাকছে, সে ক’দিন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গ‌ে যে সব সংস্থা চুক্তিবদ্ধ আছে, তাদের চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হবে।’’

কয়েক মাস আগে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের একটি সিদ্ধান্তের জেরেই দুর্গাপুর এক্সপ্রসওয়ের ডানকুনি ও পালসিট টোলপ্লাজার ফি-আদায় কমতে থাকে। আগে দু’টি টোলপ্লাজা থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩০ লক্ষ টাকা করে আয় হতো। কয়েক মাস আগে লরি-ট্রাকে বাড়তি মালবহন (ওভারলোডিং) এবং সড়কের বেহাল হয়ে পড়া রুখতে দুই টোলপ্লাজার সামনে ‘ওয়েব্রিজ’ (যেখানে পণ্য-সহ লরি-ট্রাকের ওজন মাপা হয়) বসানো হয়। লরি-ট্রাকে বাড়তি মাল পরিবহণ করা হলে প্রচুর টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। ওভারলোডিং বাগে আনতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কড়া মনোভাব নেয়। সংস্থার কর্তারা ভেবেছিলেন, এর ফলে লরি-ট্রাকের নিয়ম ভাঙার প্রবণতা কমবে।

কিন্তু এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর হিতে বিপরীত হয়। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ মানছে, সব পরিকল্পনা কার্যত ব্যর্থ করে জরিমানা এড়াতে বিকল্প পথে যেতে শুরু করে নিয়মভাঙা লরি-ট্রাক। যাতে টোল এবং জরিমানা দু’টিই এড়ানো যায়। ডানকুনি এবং পালসিট— দু’দিকেরই টোলপ্লাজা এড়িয়ে বিকল্প পথে গিয়ে সেই সব লরি-ট্রাক ফের দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে ফিরে আসে। এর ফলে, ডানকুনি টোলপ্লাজার প্রতিদিনের আয় এক ধাক্কায় ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকায় নেমে আসে। একই পরিস্থিতি হয় পালসিটেও। এই অবস্থা থেকেই উদ্ধার পেতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কথা বলে। স্থির হয়, কিছু লরি-ট্রাকের যাতায়াত বন্ধে কিছু রাস্তা ‘সিল’ করা হবে। পাশাপাশি, যে জায়গা থেকে ট্রাকগুলি ভিন্ন পথে যাচ্ছে, সেই পথ চিহ্নিত করে সেখানে ‘ওয়েব্রিজ’ বসিয়ে জরিমানা দিতে বাধ্য করা হবে।

কিন্তু কার্যকর করার আগেই ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ধাক্কায় বেসামাল হয়ে পড়ে গোটা পরিকল্পনা। ডানকুনি টোলপ্লাজার এক কর্মী বলেন, ‘‘অশান্তি এড়ানোর জন্য টোল নেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত ভালই। অনেকেই পরিস্থিতি সুযোগ নিয়ে ৫০০, ১০০০ টাকার নোট ভাঙিয়ে নিচ্ছিলেন। সে সব বন্ধ হয়েছে।’’

কিন্তু তার জন্য টোলপ্লাজাগুলিকে ক্ষতি স্বীকার করতে হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

toll plaza
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE