সম্প্রতি হুগলির বিভিন্ন জায়গায় ছয় নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করেছে প্রশাসন।
দিন কয়েক আগে আদিসপ্তগ্রামের একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়েছে বলে চাইল্ড লাইনে খবর আসে। মেয়েটির বাবা নেই। মা কারখানায় কাজ করেন। প্রশাসন, পুলিশ এবং চাইল্ড লাইনের আধিকারিকরা মেয়েটির বা়ড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, ওড়িশার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করা হয়েছে।
প্রশাসনিক কর্তারা পরিবারকে বোঝান, সাবালক হওয়ার আগে মেয়ের বিয়ে দিলে কী সমস্যা হতে পারে। এর আইনি দিকগুলিও ব্যাখ্যা করা হয়। মগরার বাসিন্দা মেয়েটিও জানায়, সে পড়তে চায়। শেষে মেয়েটির বাড়ির লোকজন প্রতিশ্রুতি দেন, আঠেরো বছর না হলে মেয়ের বিয়ে দেবেন না।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই স্কুলেরই নবম শ্রেণির দুই নাবালিকারও বিয়ের তোড়জোড় চলছিল। দু’জনেই মগরার অন্য এলাকার বাসিন্দা। এক জনের তার বাবা দিনমজুর। অন্য মেয়েটির বাবা ব্যবসায়ী। তাদের বাড়িতে গিয়ে কথা বলেন পুলিশ, প্রশাসন ও চাইল্ড লাইনের অফিসাররা। তাঁদের হস্তক্ষেপে বিয়ে বন্ধ হয়।
একই ভাবে পোলবা-দাদপুরের বাগাটি, আরামবাগ এবং চণ্ডীতলা এলাকায় একটি মেয়ের বিয়েও বন্ধ হয়েছে। চাইল্ড লাইনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এই ছ’টি ঘটনার মধ্যে অন্তত দু’টি ক্ষেত্রে ওই নাবালিকারাই আমাদের কাছে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছে। এটা খুবই ভাল। সব ক্ষেত্রেই বাড়ির লোকেরা মুচলেকা দিয়েছেন, আঠেরো বছর না হলে তাঁরা মেয়ের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy