দেউলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। — সুব্রত জানা।
এলাকাবাসীকে দূরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আর ছুটতে হবে। তাই ঢাকঢোল পিটিয়ে পাঁচলার দেউলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অন্তর্বিভাগের উদ্বোধন করা হয়েছিল। নিয়োগ করা হয়েছিল চিকিৎসক। কেনা হয়েছিল প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও। কিন্তু উদ্বোধনের পরে দেড় বছর হতে চললে, চালু হল না ওই অন্তর্বিভাগ। পড়ে নষ্ট হচ্ছে জিনিসপত্র। পরিষেবা না পেয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অন্তর্বিভাগ উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (বতর্মানে তিনি একই পদে আছেন) এবং কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায় (বর্তমানে তিনি সমবায় মন্ত্রী)। কিন্তু এত দিনেও কেন ওই বিভাগ চালু হল না? স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের দাবি, চিকিৎসক তো নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কাজে যোগ না দেওয়ায় অন্তর্বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে এখানে এক জন করে চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্ট, দু’জন নার্স, ৫ জন কর্মী রয়েছেন। এ ছাড়া চুক্তি ভিত্তিক একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী আছেন।
অথচ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে দেউলপুর, বলরামপুর-সহ ৫টি গ্রাম নির্ভরশীল। বাসিন্দারা জানান, কয়েক দশক অন্তর্বিভাগ বন্ধ ছিল। ভরসা শুধু বহির্বিভাগ। তাও ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে না। রাতবিরেতে সমস্যায় পড়লে ছুটতে হয় গাববেড়িয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল বা হাওড়া জেলা হাসপাতালে। দেউলপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। আর হাওড়া জেলা হাসপাতাল প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাই ঘটা করে যখন দেউলপুর প্রথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্তর্বিভাগ ফের চালু করায় খুশি হয়েছিলেন এলাকাবাসী। কিন্তু সেই খুশি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দিনের বেলায় না হয় কোনও রকমে দূরের ভাল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীদের নিয়ে যাওয়া গেল। কিন্তু রাতে? অন্তর্বিভাগ চালু থাকলে ছোটখাট সমস্যার জন্য দূরে ছুটতে হতো না। আমরা চাই, স্বাস্থ্য দফতর দ্রুত এই বিভাগ চালু করুক।’’ ফের চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy