তালাবন্ধ: এভাবেই পড়ে মাটি পরীক্ষাকেন্দ্র। —নিজস্ব চিত্র।
হুগলি জেলা জুড়ে বিজ্ঞান ভিত্তিক চাষে উৎসাহ দিতে চাষিদের মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে বলছে কৃষি দফতর। কিন্তু গোটা হুগলি জেলায় মাটি পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা মাত্র একটি। সেটি রয়েছে চুঁচুড়াতে। জেলার অন্যতম কৃষিপ্রধান মহকুমা আরামবাগে একটি মাটি পরীক্ষাকেন্দ্র চালুর জন্য একাধিক বার দাবি জানানো হলেও কাজ হয়নি।
আরামবাগের চাষিদের মাটির স্বাস্থ্য জানতে ১২০ কিমি উজিয়ে চুঁচুড়া যেতে হয়। যেটা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। খানাকুলের ঘোষপুর গ্রামের চাষি বিমল রায়ের ক্ষোভ, “মাটি পরীক্ষার জন্য চুঁচুড়ায় পাঠালে কমপক্ষে ৬ মাস পরে সেটির রিপোর্ট পাওয়া যায়। হাতের কাছে মাটি পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় আন্দাজে সার প্রয়োগ করতে হচ্ছে।’’ একই অভিযোগ করেছেন আরামবাগের সালেপুর গ্রামের চাষি সন্তোষ মালিক, গোঘাটের বদনগঞ্জ গ্রামের চাষি বৃন্দাবন সরকার, পুরশুড়ার চিলাডাঙ্গী গ্রামের চাষি পলাশ মণ্ডলের মতো অনেক চাষি।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৪ সালে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে একটি মাটি পরীক্ষা কেন্দ্র চালু হয়। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ চলার পরেই ওই কেন্দ্রের কর্মীদের মজুরি এবং মাটি পরীক্ষার বিভিন্ন উপকরণ কেনার টাকা কে দেবে সেই নিয়ে কৃষি দফতর ও পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়। তার পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়। আর চালু হয়নি।
জেলার মুখ্য কৃষি আধিকারিক অশোক তরফদার বলেন, “জেলায় একটিমাত্র মাটি পরীক্ষাকেন্দ্র থাকায় নানা অসুবিধা হয়। তাই বিভিন্ন ব্লকে মাটি পরীক্ষা কেন্দ্র করার জন্য রাজ্য দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’’
জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, হুগলি জেলায় চাষির সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার। গত বছর প্রায় ৩৯ হাজার চাষির জমির মাটি পরীক্ষা করে তাঁদের মাটির স্বাস্থ্য কার্ড দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরে অন্তত ৪০ হাজার চাষির মাটি পরীক্ষা করে তাঁদের জমির স্বাস্থ্য কার্ড দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
অশোকবাবু বলেন, ‘‘বর্তমানে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মাটি সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেই মতো চাষিদের সার প্রয়োগের পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy