হুগলির ১৮টি ব্লকেই স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রকল্পে জোর দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অন্যত্র সেই কাজ পুরোদমে চললেও ঠিকাদার বাছাই নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যে tangle overর জেরে আরামবাগের হরিণখোলা-২ পঞ্চায়েত এলাকায় ওই কর্মসূচি থমকে গিয়েছে।
টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করে ব্লক প্রশাসন। কিন্তু ব্লক প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, নিজেদের পছন্দের ঠিকাদার নিয়োগের দাবি ছিল তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের কিছু সদস্যের। তা না হওয়ায় কাজ যথাযথ ভাবে হচ্ছে না, এই অজুহাতে অন্যায় ভাবে টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং কয়েকটি নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ৮ জন ঠিকাদার।
“ওই পঞ্চায়েতে স্বচ্ছ ভারত মিশন কর্মসূচি গতি হারিয়েছে এটা বাস্তব।
সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” প্রণব সাঙ্গুই, বিডিও
কাজের গতি কেন শ্লথ, তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবারই যুগ্ম বিডিও বিশ্বনাথ মজুমদার এবং প্রকল্পটির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নোডাল অফিসার কৌশিক চট্টোপাধ্যায় ওই পঞ্চায়েতে তদন্তে যান। বিডিও প্রণব সাঙ্গুই বলেন, ‘‘ওই পঞ্চায়েতে স্বচ্ছ ভারত মিশন কর্মসূচি গতি হারিয়েছে এটা বাস্তব। সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ ওই আট জন ঠিকাদার এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান বিশ্বনাথবাবু।
হুগলি জেলায় কর্মসূচিটি ১০০ শতাংশ সফল করতে সময়সীমা বাঁধা হয়েছে আগামী ৩১ জুলাই। ওই পঞ্চায়েত এলাকার মোট ১৬টি সংসদ। বিপিএল এবং এপিএল তালিকাভুক্ত উপভোক্তা মিলিয়ে মোট ২৯০০টি শৌচাগার নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। গত তিন মাসে মাত্র ৭৪৮টি শৌচাগার নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে। ব্লকের বাকি ১৪টি পঞ্চায়েত এলাকায় নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ শৌচাগার নির্মাণই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে বলে ব্লক প্রশাসনের দাবি। সেই কারণে ওই পঞ্চায়েতে কর্মসূচিতে গতি আনতে চায় প্রশাসন।
পঞ্চায়েত প্রধান মিঠু ঘোষ বলেন, ‘‘ঠিকাদার নিয়ে সমস্যা থাকতে পারে। তবে সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আমাদের আর ঠিকাদার বাছার সময় নেই। দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে। আমরা ব্লক প্রশাসনকে কথা দিয়েছি, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সম্পূর্ণ করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy