(বাঁ দিকে) পুরনো সেতুর কাজ চলছে। গ্রামবাসীদের জন্য রয়েছে অস্থায়ী সেতু। — সুব্রত জানা
অবশেষে শুরু হল বকপোতা সেতুর কাজ। কাজটি করছে পূর্ত দফতর (সড়ক)। খুশির হাওয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী বকপোতা সেতুটি (পুরানো) পরিদর্শনে এসেছিলেন। সেই সময়ই এলাকাবাসী নতুন সেতু তৈরির দাবি করেছিলেন। আশ্বাসও মিলেছিল। সেই মতো ২০১০ সালে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ররা পরিদর্শন করে প্রস্তাবিত নতুন সেতুর নকশাও তৈরি করেন। পূর্ত দফতর অনুমোদন করে ১১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে পূর্ত দফতর (সড়ক)। অভিযোগ, হুগলির দিকের চাষিরা জমি দিতে অস্বীকার করেন। ফলে থমকে যায় কাজ। তার পর আর কাজ এগোয়নি। তার পরে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। প্রশাসনের তরফে চাষিদের সঙ্গে বসা হয়। শেষমেশ গত মার্চ মাসে সমস্যা মেটে। ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় চাষিদের। উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, ‘‘অবশেষে সেতু তৈরির কাজ শুরু করা গিয়েছে। দ্রুত সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সেতু হলে দুই জেলার মানুষ উপকৃত হবেন।’’
সেতুটি নির্মাণের জন্য প্রায় ২৮ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে বলে সংশ্লিষ্ট দফতরের এক কর্তা জানিয়েছে। সেতুটির প্রস্তাবিত দৈর্ঘ্য ২০০ মিটার, চওড়া ১১ মিটার। প্রশাসন সূত্রে খবর, ১৯৭৩ সালে বকপোতা সেতুটি তৈরি হয় দুই জেলার মানুষের যোগাযোগ আরও সুগম করতে। সেতু তৈরি হওয়ায় জাঙ্গিপাড়া ব্লকের লোকেরা উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে যেমন সহজে আসতে পারছিলেন, তেমনি দুই জেলার চাষিরা বিভিন্ন হাট-বাজারে সহজে সব্জি নিয়ে যেতেনও। ২০১৪ সালের ৯ জুন পুরনো সেতুটির একটি পিলারে ফাটল ধরে এবং একটি অংশ সামান্য বসেও যায়। ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই জেলার মানুষ খুবই সমস্যায় পড়েন। রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্সের বদলে চ্যাংদোলা বা স্ট্রেচারে করে, নয় তো তাঁদের নিয়ে যেতে হয় ২৫ কিলোমিটারের বেশি দূরে শ্রীরামপুরে। হাওড়া শহরেও যাওয়ার ক্ষেত্রে উদয়নারায়ণপুরের লোকেদের ১০ কিলোমিটারের বেশি পথ ঘুরতে হচ্ছে।
অবশেষে নতুন সেতুর কাজ শুরু হওয়ায় খুশি সকলেই। উদয়নারায়ণপুরের সব্জি ব্যবসায়ী তমাল শাসমল, শেখ সালামরা বলেন, ‘‘যাতায়াত করতে আমাদের খুব অসুবিধা হয়। সব্জি ট্রলিতে করে নিয়ে সেতুর প্রান্তে নামাতে হয়। ফের তা মাথায় করে সেতুর অন্য প্রন্তে গিয়ে ট্রলিতে করে বাজারে নিয়ে যেতে হয়। এতে কষ্ট ও খরচ বেশি হয়। সেতু হলে খুবই ভাল হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy