Advertisement
১০ মে ২০২৪

বই মেলেনি হাই মাদ্রাসায়

বিনামূল্যে এই বই তুলে দেওয়া হয় পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের। তার মধ্যে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোল, অঙ্ক বই তুলে দেওয়া হলেও নবম ও দশম শ্রেণিতে শুধুমাত্র বাংলা, ইংরেজি ও অঙ্ক বই দেওয়া হয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নুরুল আবসার
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:০৯
Share: Save:

‘পুস্তক দিবস’-এর বাকি মাত্র পাঁচ দিন। ওই দিনই প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার কথা। অথচ তার আগে নতুন বই এল না রাজ্যের হাই মাদ্রাসাগুলিতে।

রাজ্যের হাইস্কুলগুলিতে কিন্তু এই সমস্যা নেই। নভেম্বর মাসের মধ্যেই সব হাইস্কুলে বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ফলে তাদের পক্ষ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা।

বিনামূল্যে এই বই তুলে দেওয়া হয় পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের। তার মধ্যে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোল, অঙ্ক বই তুলে দেওয়া হলেও নবম ও দশম শ্রেণিতে শুধুমাত্র বাংলা, ইংরেজি ও অঙ্ক বই দেওয়া হয়।

একই নিয়ম মাদ্রাসাগুলির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য বলে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর। কিন্তু মাদ্রাসাগুলির হাতে এখনও বই এসে না পৌঁছানোয় ছাত্র-ছাত্রীরা পুস্তক দিবসে নতুন বই-এর গন্ধ পাবে না বলেই আশঙ্কা করছেন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকেরা। অথচ হাইস্কুলগুলির সঙ্গে হাই মাদ্রাসাগুলিতেও সাড়ম্বরে পুস্তক দিবস পালন করতে বলা হয়েছে বলে প্রধান শিক্ষকেরা জানিয়েছেন।

গত বছরেও এই একই সমস্যা হয়েছিল। নতুন বই না আসায় পুরনো বই দিয়েই পুস্তক দিবসের অনুষ্ঠান করতে হয়েছিল বলে দাবি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকদের।

হাওড়ার বাগনানের খাজনাবাহালা হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘নতুন শ্রেণিতে ওঠা ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পুরনো বই তুলে দিয়ে আমাদের পুস্তক দিবস পালন করতে হয়েছে। এটা আমাদের জন্য খুবই বিড়ম্বনার।’’

হাওড়া জেলায় মোট ১৭টি হাইমাদ্রাসা আছে। কোথাও এখনও পর্যন্ত নতুন বই আসেনি। মনিরুলের আশঙ্কা, ‘‘এ বারও গত বছরের মতো পুরনো বই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দিয়ে পুস্তক দিবসের অনুষ্ঠান পালন করতে হবে।’’

শুধু হাওড়া নয়, রাজ্যে ৫১২টি হাই মাদ্রাসা আছে। কোথাও বই পৌঁছায়নি বলে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর। গত বছর ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন বই পৌঁছেছিল জানুয়ারির শেষে। দেরিতে বই পৌঁছানোয় সিলেবাস শেষ করার ক্ষেত্রেও
ছাত্র-ছাত্রীরা পিছিয়ে থাকে বলে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকদের অভিযোগ।সমস্যাটির কথা তাঁরা জানেন বলে দাবি হাওড়া জেলা স্কুল পরিদর্শক শান্তনু সিংহের। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি রাজ্য শিক্ষা দফতরকে অনেক আগেই শুনিয়েছি। দেখি কী হয়।’’

রাজ্য শিক্ষা দফতরের এক পদস্থ কর্তা আবার জানান, মাদ্রাসায় বই বিতরণের বিষয়টি দেখে রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, যে প্রেসকে বই ছাপার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা সময়মতো যোগান দিতে না পারার জন্যই বিপত্তি ঘটেছে। তবে দ্রুত যাতে মাদ্রাসাগুলিতে বই পৌঁছে যায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে মাদ্রাসা বোর্ড-এর এক কর্তা জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Books Madrasa Uluberia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE