Advertisement
১৭ মে ২০২৪

কুপ্রস্তাবের প্রতিবাদ, ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ

রাস্তায় কুপ্রস্তাব এবং অশালীন আচরণের প্রতিবাদ করায় দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজ ছাত্রীকে সাইকেল থেকে ফেলে মারধর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল গোঘাটের সন্তা গ্রামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। যে এলাকায় দাপুটে তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গোঘাট শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০০
Share: Save:

রাস্তায় কুপ্রস্তাব এবং অশালীন আচরণের প্রতিবাদ করায় দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজ ছাত্রীকে সাইকেল থেকে ফেলে মারধর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল গোঘাটের সন্তা গ্রামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। যে এলাকায় দাপুটে তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত। রবিবার সকালে ওই গ্রামের হাটতলায় ঘটনার পরে ছাত্রীটিকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিকেলে তাঁর বাবা দেবাশিস সাঁতরা নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত পলাতক। তার খোঁজ চলছে। তবে, দেবাশিসকে দলীয় কর্মী হিসেবে মানতে চাননি গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার। তাঁর দাবি, ‘‘ওই যুবকের বিরুদ্ধে গ্রামের মেয়েদের উত্যক্ত করার আরও নজির রয়েছে। ও দলের কেউ নয়। পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”

ছাত্রীটির পরিবার সিপিএম সমর্থক। বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভোট দিতে যাওয়া যাবে না বলে ওই পরিবারের উপরে ফতোয়া জারি করার অভিযোগ উঠেছিল দেবাশিসের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্রীটি ভোট দিতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, তার পর দফায় দফায় বার চারেক তাঁদের বাড়িতে হামলা হয়। প্রহৃত হন ছাত্রীর বাবা, জ্যাঠা এবং দাদারাও। ছাত্রীটিকেও রাস্তাঘাটে ধর্ষণের হুমকি-সহ নানা ভাবে দেবাশিস প্রায়ই উত্ত্যক্ত করছিল বলে অভিযোগ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ টিউশন সাইকেলে বান্ধবীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন ছাত্রীটি। হাটতলায় দেবাশিস তাঁর সাইকেল আটকায় বলে অভিযোগ। ছাত্রীটির অভিযোগ, দেবাশিস মাত্রাছাড়া অসভ্যতা করতে থাকে। কুপ্রস্তাব দেয়। প্রতিবাদ করায় সাইকেল সমেত তাঁকে ঠেলে ফেলে পোশাক ছিঁড়ে দেয়। লাথি মারে। বান্ধবী প্রতিবাদ করায় তাকেও হুমকি দেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Protest Beaten College student
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE