Advertisement
২১ মে ২০২৪

রাস্তা না করেই দেখানো হল খরচ, দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে বিডিও

রাস্তা সংস্কার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল বাম পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রাস্তা সংস্কারের কোনও কাজ না করেই বরাদ্দ টাকা খরচ করা হয়ে গিয়েছে বলে দেখানো হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্যামপুর শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৬ ০১:১১
Share: Save:

রাস্তা সংস্কার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল বাম পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রাস্তা সংস্কারের কোনও কাজ না করেই বরাদ্দ টাকা খরচ করা হয়ে গিয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। ঘটনাটি হাওড়ার শ্যামপুর-১ ব্লকের বাণেশ্বরপুর ২ পঞ্চায়েতের ঘটনা। কেবল বরাদ্দ অর্থই নয়, রাস্তা নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে বলে রির্পোট দিয়েছে স্যোশাল অডিট টিম। বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে ব্লক প্রশাসনের তরফেও তদন্ত করা হচ্ছে।

ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাণেশ্বরপুর ২ পঞ্চায়েতের শিবপুর মৌজায় অরবিন্দ মণ্ডলের বাড়ি থেকে আটেশ্বরী মিল হয়ে সুবল করণের বাড়ি পর্যন্ত একটি ইটের রাস্তা সংস্কারের পরিকল্পনা করা হয়। কথা ছিল প্রায় ছশো মিটার লম্বা রাস্তাটি বাঁশ দিয়ে পাইলিং করে ও মাটি ফেলে ঠিক করে দেওয়ার। এর জন্য বরাদ্দ হয় প্রায় ৭০ হাজার টাকা। পরে পঞ্চায়েতের তরফে দেখানো হয় কাজটি হয়ে গিয়েছে। সে জন্য ৬০ হাজার টাকা খরচও হয়েছে। কিন্তু মাস কয়েক আগে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজকর্ম সরেজমিন খতিয়ে দেখতে আসে স্যোশাল অডিট টিম। তাঁরা দেখেন। যে রাস্তার কাজ হয়েছে বলা হয়েছে সেখানে কোনওরকম সংস্কারই হয়নি। তাঁদের তরফে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে রির্পোট দেওয়া হয়। তা ছাড়া মাস কয়েক আগে এলাকায় এক সভায় স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তাটি নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগও জানান।

স্যোশাল অডিট টিম ও ব্লক প্রশাসন প্রশাসন সূত্রে খবর, রাস্তা সংস্কারের ক্ষেত্রে দেখানো হয়েছে ১৫১টি বাঁশ কেনা হয়েছে। বস্তা কেনা হয়েছে ৬৫৩টি, ৩৫ জন শ্রমিককে কাজে লাগানো হয়েছিল। এ ছাড়া অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচের হিসাব দেওয়া হয়। স্যোশাল অডিট বিভাগের জেলার এক কর্তা জানান, ওই রাস্তার কাজ কিছুই হয়নি। অথচ খরচের হিসাব দেওয়া হয়েছে। ফলে গরমিল দেখা গিয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রাস্তা নিয়ে অভিযোগ পৌঁছেছে ব্লক প্রশাসনের কাছে। তাদের তরফেও তদন্ত করা হচ্ছে। শ্যামপুর ১-এর বিডিও অনন্যা ঘোষ বলেন, ‘‘ওই পঞ্চায়েতর কিছু কাজের দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছিলাম। প্রাথমিক তদন্তে দুর্নীতি বিষয়টি ধরা পড়েছে। এ নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’’

পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা দিব্যেন্দু পাত্র বলেন, ‘‘মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় ভুগছেন। আর কাজ না করে পঞ্চায়েত সেই টাকা চুরি করে করল। এটা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।’’ পঞ্চায়েত প্রধান নির্মল কর্মকারের দাবি, ‘‘দুর্নীতির কোনও ব্যাপার নেই। রাস্তার কিছুটা অংশে কাজ হয়েছে। আরও কাজ হবে। বিরোধীরা অযথা রাজনীতি করছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE