পুরভোটের আগে এমন ঘটনায় অস্বস্তিতে শাসক দল।— প্রতীকী ছবি।
দলীয় কোন্দল রুখতে কড়া বার্তা দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই নির্দেশের পরও পুরশুড়া বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের বিরাম নেই।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত সংঘর্ষ বাঁধে এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক পারভেজ রহমান এবং বর্তমান বিধায়ক মহম্মদ নুরুজ্জামানের অনুগামীদের মধ্যে। দফায় দফায় বোমাবাজি এবং লাঠি, রড, কুড়ুল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে আহত হলেন দু’পক্ষের ১১ জন। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ টহলদারি চলছে। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। দু’পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে প্রায়ই ক্ষমতা দখল ঘিরে আরামবাগের ঘোলতাজপুর, তাজপুর, হরিণখোলা, মজফ্ফরপুর, আমগ্রাম, বিরাটি ইত্যাদি গ্রামগুলিতে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে। কোন্দল মেটাতে গত ২২ মে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পুরশুড়ার প্রাক্তন বিধায়ক পারভেজ রহমান এবং বর্তমান বিধায়ক মহম্মদ নুরুজ্জামানকে ডেকে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছিলেন।
কিন্তু তারপরও কোন্দলে দাঁড়ি পড়েনি। মঙ্গলবার রাতে ঘোলতাজপুর গ্রামে নুরুজ্জামানের দুই সমর্থক তথা স্থানীয় নেতা বাবলু বেরা এবং বরুন শিটকে রাস্তায় ফেলে লাঠি ও রড দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। আহতদের অভিযোগ, ‘‘বিধায়কের সঙ্গে কেন দল করছি সেই কৈফিয়ত চেয়েই পারভেজের লোকরা মারধর করে আমাদের।’’ ওই ঘটনার পরই নুরুজ্জামানের অনুগামীরা পাল্টা তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। মহম্মদ নুরুজ্জামানের কথায়, ‘‘সব পক্ষকে একাধিকবার শান্তি বজায় রাখতে বলা হয়েছে। তারপরেও এই ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। কে কার অনুগামী না দেখে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” পারভেজও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী শান্তি- বজায় রাখতে বলেছেন, সেটাই শেষ কথা।’’
তবে শুধু পুরশুড়া নয়। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত গোঘাটের পশ্চিমপাড়া অঞ্চলের কয়েকটি গ্রামেও বোমাবজি-সহ তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে জনা ৬ আহত হলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গোঘাট-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির দুই কর্মাধ্যক্ষ আতাউল হক এবং ফরিদ খান গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরেই এই সংঘর্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy