সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী পঞ্চায়েতগুলি বাড়ি বাড়ি খবর পাঠিয়েছিল। সেই মতো রবিবার সকালেই আরামবাগ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এবং পুরসভা এলাকা থেকে হাজির হয়েছিলেন শ’দয়েক প্রতিবন্ধী। কিন্তু দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ব্লক প্রশাসন থেকে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয় প্রতিবন্ধী শনাক্তকরণ শিবির আচমকা পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হয়ে ফিরতে হল ওইসব প্রতিবন্ধীদের। প্রতিবন্ধীদের উপেক্ষার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তাঁদের পরিবারের লোকজন।
কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রালয়ের প্রতিবন্ধী সহায়তা প্রকল্পে (এডিআইপি) গরিব প্রতিবন্ধীদের জন্য বিনা পয়সায় অত্যাধুনিক সরঞ্জাম দেওয়ার লক্ষ্যে এই শনাক্তকরণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। আরামবাগ এলাকায় ৪টি জায়গায় নির্দিষ্ট তারিখে সেই শিবির করা হবে বলে গত ৬ মার্চ হুগলি জেলা শাসকের কাছে চিঠি আসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের অধীন আর্টিফিসিয়াল লিম্বস ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া থেকে। বলা হয় সংশ্লিষ্ট নিগমের বনহুগলির আঞ্চলিক দফতর থেকে ওই শিবির পরিচালনা করা হবে। জেলা প্রশাসন সেই চিটি ৭ মার্চ সব ব্লকে পাঠায়। সেই মত ব্লক প্রশাসন সমস্ত পঞ্চায়েতকে শনাক্তকরণ শিবির নিয়ে প্রচারও করতে বলে।
রবিবার আরামবাগের রবীন্দ্রভবনে সকাল ১০টা থেকে শিবিরের সময় নির্দিষ্ট ছিল। কিন্তু দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত উদ্যোক্তাদের না দেখতে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন উপস্থিত প্রতিবন্ধী মানুষজন। আরামবাগ ব্লক প্রশাসন থেকে বলা হয়, শনাক্তকরণ শিবির যে বাতিল করা হয়েছে তা তাঁদের আগাম জানানো হয়নি।
হুগলির অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) বানীপ্রসাদ দাস বলেন, “শনাক্তকরণ শিবিরটি জেলা প্রশাসনের আয়োজন নয়। আমরা শুধু আয়োজকদের শিবির সংক্রান্ত চিঠিটি ব্লক প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছি। শিবির যে বন্ধ করা হচ্ছে বা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে তা আমাদের জানানো হয়নি।’’
কেন বাতিল হল শিবির?
সংশ্লিষ্ট সংস্থার বনহুগলির আঞ্চলিক অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শ্যামলকুমার মোহন্ত বলেন, “এই জাতীয় কর্মসূচি নিয়মবহির্ভূতভাবে আচমকা বন্ধ করায় আমরা দুঃখিত। স্থানীয় সাংসদ অপরূপা পোদ্দার পারিবারিক কারণে থাকতে পারবেন না জানানোয় শিবির পিছিয়ে দিতে হয়। এতে প্রতিবন্ধী মানুষজন হয়রানি হওয়ায় আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’’ তিনি জানান, আগামী মে মাসের ৭ , ৮ , ১১ এবং ১২ তারিখে খানাকুল, আরামবাগ, তারকেশ্বর এবং চন্দ্রকোনায় এই শিবির হবে।
শিবির পিছিয়ে দেওয়া অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তিনি বলেন, “আমার থাকা না থাকার জন্য শনাক্তকরণ শিবির বন্ধ করা ঠিক হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy