বালিতে প্রচারে প্রার্থীদের সঙ্গে মন্ত্রী অরূপ রায়। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র।
শুক্রবার সকাল ৯টা। বালির বাদামতলায় জিটি রোডে জড়ো হচ্ছেন ঘাসফুল পতাকাধারীরা। সঙ্গে বালির চারটি ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীরা। কিছু পরেই এলেন মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলা সভাপতি অরূপ রায়। ঢাক বাজিয়ে শুরু হল প্রচার মিছিল।
সেই সময়ে কাছেই জিটি রোডের একটি আবাসনের তিন তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে লোকের চোখ এড়িয়ে আগাগোড়া সেই মিছিল পর্যবেক্ষণ করলেন বালির প্রাক্তন চেয়ারম্যান, এক সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা অরুণাভ লাহিড়ী।
কিন্তু ভোট-প্রচারে প্রকাশ্যে না এসে কেন ঘরবন্দি অরুণাভবাবু? দলীয় সূত্রে দাবি, প্রচারে রাস্তায় না বেরোলেও দলের জোনাল অফিসে নিয়মিত যাচ্ছেন তিনি। ভোটের সাংগঠনিক কাজও করছেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, ভোটের প্রাক্ মুহূর্তে ঘুসুড়ির ঘুষ-কাণ্ডে অরুণাভবাবুর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় সিপিএম কিছুটা ব্যাকফুটে। তাই প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে প্রার্থীও করেননি দলীয় নেতৃত্ব। অরুণাভবাবুও নিজের কোনঠাসা অবস্থা প্রকাশ্যে আনতে চাইছেন না।
অরুণাভবাবু বলেন, ‘‘আমি দলের একনিষ্ঠ কর্মী। দল যা কাজ দিয়েছে পালন করছি।’’ ঘুষ-কাণ্ড থেকে অরুণাভবাবুকে ক্লিনচিট দিতে অবশ্য লিফলেট ছাপিয়ে বালিতে বিলি করছেন সিপিএম নেতৃত্ব। যার মূল বক্তব্য, ঘুষ-কাণ্ডে অরুণাভবাবুর নাম জড়ানোর পিছনে আছে শাসক দলের সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক চক্রান্ত।
সিপিএমের হাওড়া জেলা সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার বলেন, ‘‘রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা অরুণাভবাবুর বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি। তাই মানুষের মধ্যে থাকা বিভ্রান্তি দূর করতে লিফলেট ছাপানো হয়েছে।’’
এ দিন চার তৃণমূল প্রার্থী প্রাণকৃষ্ণ মজুমদার, বলরাম ভট্টাচার্য, সুমনা মুখোপাধ্যায়, চৈতালী বিশ্বাসকে নিয়ে অরূপবাবু ও মেয়র পারিষদ গৌতম চৌধুরী মিছিল করেন। অরূপবাবু বলেন, ‘‘কে কী করেছেন মানুষ জানেন। উন্নয়নের নামে যে টাকা লুঠ হয়েছে ঘুষ-কাণ্ডে মানুষ তার প্রমাণ পেয়েছে। তাই বালির মানুষকে নতুন করে সিপিএমের হার্মাদদের সঙ্গে পরিচয় করানোর দরকার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy