বাবুল সুপ্রিয়
তাঁর আসা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। তবে শ্রীরামপুরের মাহেশে নেহরুনগরের পুজোয় এসে সব বিতর্কে জল ঢাললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
রবিবার নেহরুনগর সর্বজনীনের পুজো উদ্বোধন করার কথা ছিল বাবুলের। কিন্তু তাঁর আসা নিয়ে তৈরি হয় রাজনৈতিক বিতর্ক। তার পর শুক্রবার চিঠি দিয়ে বাবুলের আসা বাতিল করেন পুজোর উদ্যোক্তারা। বিষয়টিকে নিয়ে আসরে নামে বিজেপি। শনিবার দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলন করে এ ব্যাপারে তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও কড়া বিবৃতি দেন। এর পরেই বার্তা আসে, রবিবার বাবুল ওই পুজোয় ঘুরে যাবেন।
এ দিন বিকেলে আসানসোল থেকে নেহরুনগরে চলে আসেন বাবুল। দেবীর হাতে পদ্মফুল দিয়ে অঞ্জলি দেন। মণ্ডপ ঘুরে দেখেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাবুল বলেন, ‘‘তিন দিন ধরে অহেতুক বিতর্ক হচ্ছে। আমি আসায় ওরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। আমি এখানে উদ্বোধনে আসিনি। মাকে পদ্মফুল দিতে এসেছি।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘এই সব রাস্তাঘাট আমার খুব চেনা। সাইকেল চালিয়েছি এখানে। নস্টালজিক লাগছে।’’
এ দিন মণ্ডপে ছোটদের হাত থেকে বন্দুক নিয়ে ক্যাপ বন্দুক ফাটিয়ে, তরুণী ভক্তের সঙ্গে সেলফি তুলে, বৃদ্ধের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জনসংযোগ করেন আসানসোলের গায়ক-সাংসদ। ভক্তদের অনুরোধে দু’কলি গেয়ে ওঠেন, ‘‘বড় আশা করে এসেছি গো, কাছে ডেকে লও।’’ তাঁকে ঘিরে সাধারণ মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
বাবুলের নাম না করে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দলনেত্রী রাজ্যবাসীকে সতর্ক করেছেন। তার প্রেক্ষিতেই আমরা এই রাজ্যে কোনও বাঁদরামি সহ্য করব না। উৎসবের দিনগুলো সম্প্রীতির উৎস হয়ে উঠুক। বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ক্ষুন্ন হতে দেব না আমরা।’’ বাবুলের বক্তব্য, ‘‘কল্যাণদার রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা আছে। তাই এ নিয়ে আমি কিছু বলব না। পুজো নিয়ে বিতর্কের রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলার প্রশ্ন নেই। উৎসব সুন্দর হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy