ভেসে-থাকা: নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ হাওড়ার জয়পুরে। রবিবার। ছবি: সুব্রত জানা
ডিভিসি নতুন করে জল না ছাড়ায় পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে গ্রামীণ হাওড়ায়। উদয়নারায়ণপুর থেকে আস্তে আস্তে জল নামতে শুরু করেছে। তবে আমতা ২ ব্লকে এখনও সেভাবে জল নামেনি। জেলা প্রশাসনের দাবি, দুর্গত এলাকায় আরও বেশি পরিমাণে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
জল নামতে শুরু করার পরেই ক্ষয়ক্ষতির হিসেব কষা শুরু হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে রাস্তা, নলকূপ এবং বাড়ির। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাষিরা মার্চ-এপ্রিল মাসে আউশ ধানের চারা পুঁতেছিলেন। আমন ধানও চাষ করা শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাঠে জল জমে থাকার ফলে ধান তো বটেই, আনাজও নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উদয়নারায়ণপুর এবং আমতা ২ ব্লক মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। তার মধ্যে ৭০টি শিবির হয়েছে উদয়নারায়ণপুরে। সেগুলিতে রান্না করা খাবার, চিঁড়ে, গুড়, শিশুখাদ্য এবং ত্রিপল বিলি করা হচ্ছে। এছা়ড়াও অনেক দুর্গত মানুষ নিজেদের বাড়ির ছাদ অথবা নদীর বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। হাওড়ার জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী জানান, যাঁরা ত্রাণশিবিরে রয়েছেন তাঁদের জন্য তো বটেই, যাঁরা অন্য জায়গায় রয়েছেন তাঁদের জন্যও ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ত্রাণ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন দুর্গতদের একাংশ। উদয়নারায়ণপুরে ক্ষোভের মাত্রা ছিল সবথেকে বেশি। রবিবার উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, ‘‘বন্যার জন্য রাস্তা ডুবে গিয়েছিল। তাই ত্রাণসামগ্রী ভর্তি ট্রাক এলাকায় ঢুকতে পারছিল না। শনিবার থেকে জল নামতে শুরু করেছে। এখন ট্রাক ঢুকতে সমস্যা নেই।’’ তবে আমতা ২ ব্লক এখনও জলবন্দি থাকায় সেখানে রবিবার রাত পর্যন্ত পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছয়নি।
দিন কয়েক ধরেই ত্রাণ নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলবাজির অভিযোগে সরব হন বিরোধীরা। অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা তৃণমূলের সভাপতি পুলক রায়। হাওড়া (শহর) জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ রায় শনিবার উদয়নারায়ণপুরে ত্রাণ বিলি করেন। তাঁর দাবি, ‘‘ত্রাণ নিয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি।’’
সেচ দফতর সূত্রে খবর, ডিভিসির ছাড়া জল দামোদর ছাড়াও রামপুর খাল, মজা দামোদর এবং মুণ্ডেশ্বরীতে ঢোকে। উদয়নারায়ণপুর ব্লকে ১১টির মধ্যে ১০টি পঞ্চায়েত এবং আমতা ২ ব্লকে ১৪টির মধ্যে ৯টি পঞ্চায়েত প্লাবিত হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy