কেউ হয়তো অবসাদে ভুগছেন দীর্ঘদিন, কারও মনের অসুখ হয়তো আরও জটিল! কারও মধ্যে হয়তো আত্মহত্যার প্রবণতাও বাড়ছে। হাওড়া জেলায় এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। কিন্তু পরিবারের লোকজনের সচেতনতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রেই ওই সব অসুস্থ মানুষেরা সঠিক চিকিৎসা বা কাউন্সেলিংয়ের সুযোগ পান না। তাঁদের জন্য এগিয়ে এল স্বাস্থ্য দফতর। এ বার জেলার বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ ব্যাপারে খোঁজ নেবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। অবসাদগ্রস্তদের মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তির নিদান দেবেন।
জেলায় চালু হতে যাওয়া এই কর্মসূচির নাম ‘মানসিক স্বাস্থ্যপ্রকল্প’। রাজ্যের ২৮টি ‘স্বাস্থ্য জেলা’র মধ্যে ১১টিতে জেলায় এই প্রকল্প ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে। হাওড়া-সহ বাকি জেলাগুলিতেও এ বার প্রকল্পটি চালু হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর। সোমবারই এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হয়েছে।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, বিশেষ করে অল্পবয়সীদের মধ্যে নানা কারণে অবসাদগ্রস্ততা বেড়ে চলেছে। তা যাতে আত্মঘাতী হওয়ার পর্যায় পর্যন্ত না পৌঁছয়, তা দেখার জন্যই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির তত্ত্বাবধানের জন্য জেলায় একটি কমিটি গড়া হচ্ছে। সেই কমিটিই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ-সহ প্রকল্পটির নিয়মিত পর্যালোচনা করবে। প্রাথমিক ভাবে ওই কমিটি জেলা স্তরে একজন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করেন, এমন একজন সমাজকর্মী, একজন মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নার্স এবং একজন ‘রেকর্ড কিপার’ নিয়োগ করবে। ‘রেকর্ড কিপারের’ কাজ হবে কত জন মানুষ কী ধরনের মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত তার হিসাব রাখা। নিয়োগ প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে।