গ্রাহকসংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু উন্নতি হয়নি বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থার। ফলে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে হাওড়ার শ্যামপুর ১ ও ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে। পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে সরকারি কাজকর্মও।
বিদ্যুৎ থাকলেও সারাদিন ভোল্টেজ কম থাকে। সন্ধ্যা নামলে ভোল্টেজ আরও নেমে যায়। সাধারণ মানুষ তো বটেই, সরকারি কাজকর্মও এতে ব্যাহত হচ্ছে। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে থানার কর্মী ও প্রশাসনের লোকজনকে। কম্পিউটারে কোনও কাজই করতে পারছেন না তাঁরা। সামান্য ঝড়বৃষ্টিতেই আলো জলে যাওয়ায় প্রায়ই অন্ধকারে ডুবে থাকছে গোটা শ্যামপুর। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠলেও তার সমাধান এখনও অধরাই। কারণ শ্যামপুরে বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার কোনও পরিকাঠামো নেই। ফলে কখনও কখনও নাগাড়ে ২-৩ দিন বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে শ্যামপুরের মানুষকে।
সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, শ্যামপুরে নতুন একটি পাওয়ার হাউস না হওয়া পর্যন্ত এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে বিকল্প ৩৩ কেভি ফিডা়র কেভি ফিডার লাইন না হওয়া অবধি এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থার শ্যামপুর অফিসের স্টেশন ম্যানেজার তরুণ ঘোষ বলেন, ‘‘উলুবেড়িয়া পাওয়ার হাউস থেকে শ্যামপুরের জন্য বিকল্প একটি বিদ্যুতের ৩৩ কেভি ফিডার লাইনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং শ্যামপুর বাজারের কাছে আরও একটি পাওয়ার হাউস তৈরির প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। তারাও সেটি দ্রুত অনুমোদনের আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি শীঘ্রই শ্যামপুরে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে।’’
শ্যামপুরের বাসিন্দা উত্তম রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ নিয়ে আমরা নাজেহাল। একটু ঝড়বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ দিকে গরম পড়ে যাওয়ায় প্রাণ ওষ্ঠাগত।’’
পুলিশকর্তাদের দাবি, বিদ্যুতের সমস্যায় কম্পিউটারে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। এমনকী উপরমহলের প্রয়োজনীয় ই-মেলও পেতে সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুতের কারণে কাজে সমস্যার কথা জানিয়েছেন বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মীরাও।
জেলা বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে শ্যামপুরে ৬২ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পশ্চিমবঙ্গ স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। শ্যামপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য অনন্তপুরে একটি পাওয়ার হাউস রয়েছে। সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় বাগনান এক্সট্রা হাই ভোল্টেজ ট্রান্সমিটার সেন্টার থেকে। শ্যামপুরের গড়চুমুক ৫৮ গেট এলাকা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় এখান থেকে। ফলে শ্যামপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাকে বিদ্যুতের জন্য নির্ভর করতে হয় বাগনানের ওপরে। বিদ্যুৎ দফতরের কর্তাদের বক্তব্য, বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতি করতে হলে ৫৮ গেট থেকে একটি ৩৩ কেভি ফিডার লাইনের দরকার বিকল্প হিসাবে। এটা হলে বাগনানের লাইন খারাপ হলেও এখান থেকে কাজ চালানো যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy